
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন ‘দেশে গণতন্ত্র ফেরাতে হলে নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প’। আজ বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) রাজধানীর হোটেল রেডিসন ব্লু ওয়ার্টার গার্ডেনে ফাউন্ডেশন ফর স্ট্র্যাটেজিক অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজের (এফএসডিএস) উদ্যোগে ‘জাতীয় সংসদ নির্বাচন-২০২৬ : জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক এই আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে এলাহী আকবরের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক মাহবুব উল্লাহ, অধ্যাপক আনোয়ার উল্লাহ চৌধুরী, আমার দেশ সম্পাদক মাহমুদুর রহমানসহ বিভিন্ন পেশার বিশেষজ্ঞরা।
অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা জোর দিয়ে বলতে চাই, নির্বাচনই একমাত্র বিকল্প- গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে যাওয়ার। যত দ্রুত নির্বাচন হবে তত দেশের জন্য মঙ্গল। ইতোমধ্যে ঘোষণা হয়েছে ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে। এই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের একটা পার্লামেন্ট গঠন হবে। সেই পার্লামেন্ট জনগণের অমীমাংসিত যেসব ইস্যু রয়েছে তা আলোচনা করে একটা সুনির্দিষ্ট পথ বাতলিয়ে দিতে পারবে। প্রধান উপদেষ্টা বক্তব্য প্রসঙ্গে’ মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে প্রধান উপদেষ্টা যে বক্তব্য দিয়েছেন এটা নিঃসন্দেহে অনেকেই হয়ত মনে করবেন যে, সবার কাছে গ্রহণযোগ্য একটা বক্তব্য তিনি দিয়েছেন। কিন্তু এতেও তো দ্বিমত থাকতে পারে, অন্যমত থাকবে পারে। ডিজএগ্রিমেন্ট তো থাকবেই। সবাই কী একমত হবে, একমত হবে না। বিএনপি মহাসচিব বলেন, রাষ্ট্রের মালিক তো জনগণ। তার প্রতিনিধিত্ব করবে কে? সেটা হচ্ছে পার্লামেন্ট। এই যে বুদ্ধিজীবী, যাদের জন্য বৈষ্যম করা হয় তাদের জন্য পাঁচ মিনিট বেশি সময় দেওয়া হয়, আর আমরা রাজনীতিকরা তিন মিনিট পাই… এটা জনগণের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্য তাও আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্রের চর্চা আমাদের করতে হবে। আমরা আসলে দুর্ভাগা জাতি বরাবর গণতন্ত্রের জন্য প্রাণ দিয়েছে মানুষ, আমরা লড়েছি এবং সংগ্রাম করেছি। কিন্তু গণতন্ত্র চর্চা করার কোনো সুযোগ পাই নাই।
তিনি আরও বলেন, যারা জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদ হয়েছেন, তাদের প্রতি আমি শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। তারা আমাদের একটা সুযোগ করে দিয়েছেন, এই গণতন্ত্রকে একটা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার জন্য। নিজের নির্বাচনী এলাকায় কয়েকদিন আগে ঘুরে আসার কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি একটা কথা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, খুব জোরেশোরে বলতে চাই, আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব এটা কিন্তু আমাদের দেশের সাধারণ মানুষ কিচ্ছু বুঝে না।
ফখরুল বলেন, আমার এলাকার মানুষ বুঝে না এসব। আমরা এখান থেকে রুমের ভেতরে বসে যতই এই ধরনের জিনিস চাপিয়ে দিতে চাই, তাতে কাজ হবে না। পিআর এখন পর্যন্ত জনগণের কাছে বোধগম্য নয়।
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, আমরা নির্বাচনের পরে যে সমস্ত দল বা শক্তি এক সঙ্গে ফ্যাসিস্ট বিরোধী সংগ্রাম করেছি, তাদের সঙ্গে নিয়ে একটা জাতীয় সরকার গঠন করার প্রস্তাব দিয়েছি। এটা থেকে প্রমাণিত হয় আমরা আসলে এই জাতিকে সত্যিকার অর্থে মূল জায়গাগুলোতে ঐক্যবদ্ধ করে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
মন্তব্য করুন