
		নওগাঁ সংবাদদাতা: শীত মৌসুমে কুমড়ো বড়ি তৈরিতে ব্যস্ততা বেড়েছে নওগাঁর নারীদের। স্বাদে সুস্বাদু হওয়ায় এর জনপ্রিয়তাও রয়েছে। শীতকালীন এই খাবার তৈরী করে স্বাবলম্বী হচ্ছেন জেলার নারীরা। চলতি মৌসুমে শুধু নওগাঁ পৌরসভাতেই অন্তত পাঁচশ নারী এ কাজে যুক্ত আছেন। সরকারি সহায়তা পেলে কুমড়ো বড়ি বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে জানালেন ব্যবসায়ীরা।
শীতের সকালে এভাবে নওগাঁ পৌরসভার বিভিন্ন মহল্লায় নারীরা ব্যস্ত থাকেন চালকুমড়া ও ডালের মিশ্রণ দিয়ে বড়ি তৈরীতে। সম্প্রতি এ কাজে যন্ত্রের ব্যবহার শুরু হলেও শেষ পর্যন্ত বড়ি তৈরী হয় হাতের ছোঁয়ায়। এরপর রান্নার উপযোগী করা হয় রোদে শুকিয়ে। খেতে সুস্বাদু ও সাশ্রয়ী হওয়ায় স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে এই কুমড়ো বড়ি পাঠানো হয় দেশের বিভিন্ন স্থানে। কুমড়ো বড়ি তৈরী করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনছে জেলার নারীরা। তবে গত বছরের তুলনায় উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় লাভের পরিমাণ কমেছে বলে জানান কারিগররা।
বাণিজ্যিকভাবে কুমড়ো বড়ির মতো শিল্প প্রসারে কারিগরদের সার্বিক সহযোগিতা করা হচ্ছে বলে জানালেন জেলার বিসিক শিল্প নগরীর উপ-ব্যবস্থ্যাপক শামীম আক্তার মামুন। সেপ্টেম্বর থেকে ফেব্র“য়ারি মাস পর্যন্ত চলে কুমড়ো বড়ি তৈরীর কাজ। সরকারি-বেসরকারি পৃষ্ঠপোষকতা পেলে কুমড়ো বড়ি বিদেশে রপ্তানি করা সম্ভব বলে মনে করছেন ব্যবসায়ীরা।
মন্তব্য করুন