
		ফরিদপুর সংবাদদাতা: ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের দায়িত্বরত ওয়ার্ড বয়দের টাকা না দেয়ায় রোগীকে নিয়ে হেনস্তা ও অবহেলায় রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা। এছাড়া ওই রোগীর স্বজনদের মারধরও করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি নিয়ে তারা হাসপাতালের পরিচালক বরাবর লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
রোববার দুপুরে হাসপাতালটির কার্ডিওলজি বিভাগে এ ঘটনা ঘটে। মারা যাওয়া ওই রোগীর নাম স্বপ্না হালদার (৩২)। সে জেলার ভাঙ্গা উপজেলার কাউলিবেড়া ইউনিয়নের বিশোরীকান্দি গ্রামের প্রাণকৃষ্ণ বালার মেয়ে এবং পার্শ্ববর্তী মাদারপুরের রাজৈর উপজেলার খালিয়া গ্রামের রমেন হালদারের স্ত্রী। তাঁর ছোট দুই শিশু সন্তান রয়েছে।
মারা যাওয়া রোগীর স্বামী রমেন হালদার জানান, শনিবার বিকালে স্বপ্নার বুকে ব্যাথা হলে রাতে ফরিদপুর মেডিকেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। রোববার সকালে হাসপাতালের দুইজন স্টাফ এসে টাকা দাবি করে এবং টাকা না দেয়ায় জোর করে অন্য একটি বেডে পাঠিয়ে দেয়। এসময় রোগীর ক্যানুলা দিয়ে রক্ত উঠে যায় এবং অক্সিজেন ঠিকমতো লাগিয়ে দেয়নি বলে অভিযোগ করেন তারা। এর কিছুক্ষণের মধ্যেই মারা যান স্বপ্না হালদার।
অভিযুক্তরা হলেন, হাসপাতালের কর্মচারী আনোয়ার মোল্যা ও আউটসোর্সিং ২৯ ব্যাচের সুইপার মো. সমেস মিয়া। বিষয়টি নিয়ে জানতে চাইলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. হুমায়ুন কবির জানান, সকালে ওই রোগীকে অবজারভেশন বেড থেকে অন্য একটি বেডে নেয়া হয়। ওয়ার্ড বয়দের টাকা না দেয়ায় জোর করে ওই বেডে নেয়ার পরে রোগী মারা যায় বলে স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। যদি এ ধরনের অন্যায় করে থাকে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন