
		পটুয়াখালী সংবাদদাতা: পটুয়াখালীতে অবাধে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রাকৃতিক বন। একমাসের বেশি সময় ধরে বনের পাঁচ একর এলাকার গাছ কেটে নিয়েছে প্রভাবশালীরা। বন রক্ষায় কোন উদ্যোগই নেই সরকারের।
পটুয়াখালী শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া লোহালিয়া নদীর তীরে প্রকৃতিকভাবেই গড়ে উঠেছে এই ছৈালা বন। এই বনে বিভিন্ন প্রজাতির পাখি, বন বিড়াল, শিয়ালসহ অন্যান্য বন্যা প্রাণীর আবাস। বনটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় ভূমিকা রাখছে। বনটিতে চরের জমি দাবি করে সাম্প্রতি এক দিকের গাছ কাটা শুরু করেছে প্রভাশালীরা। এ পর্যন্ত ২ দশমিক ৩৭ হেক্টর এলাকার গাছ কেটে নিয়ে গেছে তারা।
গাছ কাটায় জড়িতদের দাবী এটি তাদের রেকর্ডভূক্ত সম্পত্তি। তবে স্যাটেলাইট চিত্র বলছে ভিন্ন কথা। ভূমি অফিসের নথিতে বনের জমি ব্যক্তি মালিকানাধীন হিসেবে নথিভুক্ত করলেও ২০০৪ সালে এই চরের অস্তিত্ব ছিল না। অথচ ভূমিদস্যুরা ৫০ বছর আগে থেকেই নদীর এই জমি নিজেদের দাবী করে কাগজ তৈরী করেছে।
এদিকে এক মাসের বেশি সময় ধরে গাছ কাটলেও কিছুই জানে না বন বিভাগ। বৈশাখী টেলিভিশনের পক্ষ থেকে এ বিষয় জানতে চাইলে নড়ে চরে বসেন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সফিকুল ইসলাম। তাৎক্ষনিকভাবে টিম পাঠিয়ে গাছ এবং গাছ কাটার সরঞ্জাম জব্দ করা হয়। বন বিভাগ বলছে ৫ একরের মত এলাকার গাছ কেটেছে প্রভাবশালীরা।
এদিকে এই ম্যাগ্রোভ ফরেষ্ট রক্ষায় প্রশাসন কাজ করছে বলে দাবী জেলা প্রশাসক আবু হাসনাত মোহাম্মদ আরেফীন ।
লোহালিয়া নদীর তীরবর্তী ১৫৭ হেক্টর প্রাকৃতিক বনাঞ্চলকে সংরক্ষিত বনভূমি ঘোষণা করতে জেলা প্রশাসককে গত বছর চিঠি দেয় বন বিভাগ। তবে এই চিঠির কোন অগ্রগতি আজও হয়নি।
মন্তব্য করুন