
		লক্ষ্মীপুর সংবাদদাতা: লক্ষ্মীপুরে মেঘনা নদীতে অভিযানের সময় জেলেদের হামলায় তিন নৌ পুলিশসহ চারজন আহত হয়েছে।
এসময় চারটি নৌকা ও প্রায় ৫শ’ ৩১ মিটার কারেন্ট জাল উদ্ধার করা হয়েছে। এদিকে এই ঘটনায় ১৩ জেলেকে আটক করেছে নৌ-পুলিশ।
পরে আদালতের মাধ্যমে রোববার (৯ই মার্চ) বিকালে আটককৃত ১৩ জনকে জেলহাজাতে প্রেরণ করা হয়। এর আগে সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত দিনব্যাপী মেঘনা নদীতে অভিযান পরিচালনা করে নৌ পুলিশ।
আহতরা হলেন, লক্ষ্মীপুর মজুচৌধুরীর হাট নৌ পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ সোহেল আহাম্মদ,নৌ পুলিশ সদস্য শুকুমার রায়,জাহাঙ্গীরসহ নৌ-পুলিশের মাঝী জামাল হোসেন।
আর আটকৃত জেলেরা হলেন, আবুল কাসেম (৪৫),গিয়াস মাঝী (৩৩),রাছেল (৩৩),আক্তার বেপারী (৪০), জয়নাল আবদীন (৩৩), সাহাবুদ্দিন (২৮),পারভেজ (৪০) সোহেল (৩০),সাদ্দাম বেপারী (৩৫),আব্দুস সাত্তার (৫৫),জাহিদ মোল্লা (২৫),মাইনুল (২৯),ইদ্দিস মোল্লাসহ ১৩ জন।
পুলিশ জানান,আটক জেলেদের মধ্যে ১৩ জনের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়েছে। রোববার (৯ই মার্চ) বিকালে লক্ষ্মীপুর চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করলে আদালতের বিচারক মো. খোরশেদ সিকাদর তাদের জামিন না মঞ্চুর করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর, কমলনগর ও বরিশাল জেলার হিজলার।
মজুচৌধুরীহাট নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. সোহেল হোসেন জানান, ১ মার্চ থেকে আগামী ৩০ এপ্রিল রাত ১২টা পর্যন্ত মেঘনা নদীতে জাটকাসহ সব ধরনের মাছ ধরায় সরকারি নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও জাটকাসহ সব ধরনের মাছ পরিবহন, বিক্রি ও সংরক্ষণ নিষেধ করা হয়েছে। আহতদের লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা সময়ের ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য মেঘনা নদীতে ইলিশের অভয়াশ্রম ঘোষিত এলাকায় মাছ ধরা,মজুদ,বিক্রি ও পরিবহন নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে মৎস্য বিভাগ।
মন্তব্য করুন