
		নিজস্ব প্রতিবেদক: উৎপাদন বাড়াতে দেশের অভয়াশ্রমগুলোতে মাছ ধরায় দুই মাসের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে। ফলে ঘাটে নোঙর করে আছে উপকূলের মাছ ধরার ট্রলারগুলো। নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জেলেদের জন্য সরকারি প্রণোদণা দেয়ার কথা থাকলেও অনেক জেলায় তা ঠিক মতো দেয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ রয়েছে। তবে মৎস কর্মকর্তারা বলছেন সব জেলে কিস্তির চাল বুঝে পাবেন।
উৎপাদন ও মজুদ বাড়াতে প্রতি বছর একটি নির্দিষ্ট সময়ে দেশের ছয় জেলার পাঁচটি অভয়াশ্রমে ইলিশসহ সব ধরনের মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আসছে সরকার। এবার পহেলা মার্চ মধ্যরাত থেকে শুরু হয়েছে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞা। এর ফলে উপকূলীয় এলাকায় এখন জেলেরা কর্মহীন।
মাছ ধরায় নিষেধাজ্ঞার এই সময়ে জীবিকা নির্বাহ নিয়ে দুশ্চিন্তায় ভোলার জেলেরা। এসব কর্মহীন জেলেদের জন্য সরকার আর্থিক ও খাদ্য সহায়তার ঘোষণা দিয়েছে। তবে জেলেদের অভিযোগ, সরকারের দেয়া প্রণোদনা সঠিকভাবে পান না তারা।
তবে, জেলার মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, জেলেদের সহায়তা প্রদানের পাশাপাশি সাগরে মাছ ধরা বন্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
এদিকে, নিষেধাজ্ঞার এই সময় পটুয়াখালীর জেলার অনেক জেলে ইতোমধ্যে সহায়তার প্রথম কিস্তি পেয়েছেন। ঈদের আগে সকল জেলে তাদের প্রথম কিস্তির চাল বুঝে পাবেন বলে জানিয়েছেন, জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. কামরুল ইসলাম। সেইসাথে জেলেদের মাছ শিকার বন্ধে সরকারের পক্ষ থেকে তেতুলিয়া নদীতে নজরদারীর পাশপাশি চালানো হচ্ছে অভিযান।
পটুয়াখালী জেলায় ৫১ হাজার ১৩৯ জন নিবন্ধিত জেলে রয়েছে।
অন্যদিকে, নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চাঁদপুরের কিছু অসাধু জেলে নদীতে মাছ শিকার করছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে, প্রশাসন বলছে এসব অভিযোগ সত্য নয়। নদীতে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করছেন তারা।
মন্তব্য করুন