
		দখল বাণিজ্যের রাজত্ব কায়েম করেছিলেন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী ডাঃ হাসান মাহামুদ। নিজ নির্বাচনী এলাকা চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়াতে সর্বত্রই ছিল তার পরিবারের আধিপত্যের কালো থাবা। বালুমহাল দখল, উন্নয়ন প্রকল্পের নামে লুটপাট, বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন নিপীড়ন এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। পাঁচ আগষ্টের পর তার অপকর্ম নিয়ে মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী। চান হাসান মাহামুদ ও তার পরিবারের বিচার।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকেই সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহামুদের ও তার পরিবারের দাপট শুরু হয়। ক্ষমতার ১৫ বছরে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়ায় চালিয়েছেন ত্রাসের রাজত্ব।
অবৈধ নদী শাসনের কারনে ইতোমধ্যে রাঙ্গুনিয়া উপজেলার সফর ভাটা ইউনিয়ন, পদুয়া ইউনিয়ন, ইছামতি নদী, কর্ণফুলী নদী, শীলক খাল সহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানের নদী সংলগ্ন বাঁধ ভেঙ্গে মসজিদ,বসতভিটা বিলীন হয়েছে। হুমকির মুখে কর্ণফুলী নদীর উপর ব্রীজটিও। আর উপজেলা এসব বালু মহলের নিয়ন্ত্রণ ছিল সাবেক মন্ত্রী হাসান মাহমুদের ভাই এরশাদ মাহমুদ, খালেদ মাহমুদ ও তাদের স্বজনদের হাতে।
উন্নয়ন প্রকল্পে নামে লুটপাট,বিরোধী রাজনৈতিক দলকে দমন-নিপীড়ন থেকে শুরু করে এমন কোন অপকর্ম নেই যা তিনি করেননি। তবে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনে ভেঙ্গে পড়েছে মাহামুদ পরিবারের রাজত্ব। মুখ খুলতে শুরু করেছেন এলাকাবাসী।
আর অপরিকল্পিত এসব বালু উত্তোলনের কারনে ব্রীজের স্থায়ীত্ব সহ আশেপাশের এলাকার জন্য হুমকি বলে জানালেন চট্টগ্রাম চ্যাপ্টার বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্লানারসএর সভাপতি রাশিদুল হাসান উদয়।
দেড় দশক ধরে হাসান মাহমুদের পরিবারের কাছে বালুমহাল জিম্মি থাকার পর সম্প্রতি রাঙ্গুনিয়া উপজেলার বালুমহাল নতুন ভাবে ইজারা দিয়েছে জেলা প্রশাসন। ক্ষমতার পালা বদলে আর কেউ যেন এমন স্বেচ্চাচারিতা না হয় এমনটাই চাওয়া স্থানীয়দের।
মন্তব্য করুন