
		ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে আসন্ন ঈদে ঘরমুখো মানুষেরা যানজটে ভোগান্তির শঙ্কা করছেন। জেলা পুলিশ বলছে স্বস্তিদায়ক ঈদ যাত্রা করতে ৬৫ কিলোমিটার মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৬শ’ পুলিশ ছাড়াও স্বেচ্ছাসেবীরা দায়িত্ব পালন করবে। এদিকে, ঈদ সামনে রেখে সিরাজগঞ্জ মহাসড়কে শুরু হচ্ছে বাড়তি গাড়ির চাপ। তবে জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে সকল প্রস্তুতি রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা থেকে যমুনা সেতু পর্যন্ত ৫ অংশে ৪ বছরে কাজ শেষ হয়েছে মাত্র ৪০ শতাংশ। ঈদে মহাসড়কের চার লেন চালুর কথা বললেও বেশিরভাগ অংশে মূল সড়কের কাজ শেষ করতে পারেনি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে মহাসড়কে বেশ কয়েকটি ডাকাতির ঘটনায় ঈদযাত্রার আগে ডাকাত আতঙ্ক রয়েছে এ সড়ক দিয়ে চলাচলকারীরা। মহাসড়কে যানজট নিরসনে পুলিশের সাথে স্বেচ্ছাসেবীরা কাজ করবেন বলে জানায় জেলা বাস কোচ মিনিবাস মালিক সমিতি।
যমুনা সেতু কর্তৃপক্ষ বলছে, ঈদে ভোগান্তি লাঘবে আলাদা মোটরসাইকেলের বুথসহ উভয় পাশে ৮টি করে বুথ হয়ে যানবাহন পারাপার হবে। এছাড়া মহাসড়কে প্রায় সাড়ে ৬শ’ পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে।
এদিকে, সিরাজগঞ্জের যমুনা সেতু পশ্চিম মহাসড়ক থেকে চান্দাইকোনা পর্যন্ত ৩৭ কিলোমিটার মহাসড়ক চারলেনে উন্নীতকরণের কাজ চলছে। যা এবারের ঈদযাত্রাতে পুরোটাই ব্যবহার করতে পারবে যানবাহনগুলো। ফলে এবারের ঈদযাত্রা আরও স্বস্তির হবে বলে মনে করছে যাত্রীরা।তবে সড়কের নিরাপত্তা ও তিন চাকার যান নিয়ে চিন্তিত গণপরিবহনের চালকেরা।
অন্যদিকে এবারের ঈদযাত্রাও নির্বিঘ্ন ও নিরাপদ করতে পশুর হাট কর্তৃপক্ষসহ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে ইতোমধ্যেই সভা করেছে হাইওয়ে পুলিশ।
মন্তব্য করুন