
		শেরপুর শ্রীবরদীর বেশক’টি গ্রামে চাপকল ছাড়াই উঠছে অনর্গল পানি। আর এই পানিকে বিকল্প উপায়ে সংরক্ষণ করে ব্যাবহার করতে সরকারি সহযোগিতা চাইলেন এলাকাবাসী। এদিকে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর আশ^াস দিলেন আগামী অর্থ বছরে কাজ করে দেওয়ার। শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার সীমান্তবর্তী রানীশিমূল ইউনিয়নের খাড়ামোড়া, বালিঝুড়ি, রাঙ্গাজান, ঝুলগাঁও ও খ্রিষ্টানপাড়া এলাকার প্রত্যেকটি বাড়িতেই ৬০ থেকে ৭০ ফুট কলের খনন করলেই বের হচ্ছে অনর্গল সুপেয় পানি। কোন চাপ কল কিংবা সেচ যন্ত্র দিয়ে নয়। স্বাভাবিক ভাবেই বিরামহীনভাবে বের হচ্ছে এই পানি। প্রাকৃতিকভাবে এই সুপেয় পানি পেয়ে ঐ এলাকার মানুষ সহজেই খাওয়া, গোসল থেকে শুরু করে কৃষি জমিতে আবাদের কাজেও ব্যাবহার করছেন। এই এলাকাগুলোতে কোন চাপকল কিংবা সেচ পাম্পের প্রয়োজন হয় না, লাগে না বিদ্যুৎ বিলও। সহসাই কৃষি জমিতে এই প্রাকৃতিক পানি দিয়ে আবাদ করে লাভবান হচ্ছেন কৃষকরা। জনস্বার্থে সরকারিভাবে কল স্থাপনের কাজ শুরু করলে সেই অনর্গল পানি উঠতে থাকে আর কলের মাথার আর প্রয়োজন হয় না, আর এভাবেই দিন রাত পানি বের হচ্ছে এই কল দিয়ে এমনটাই জানালেন এলাকাবাসী। আগামী অর্থ বছরে কাজ করে দেওয়ার প্রতিশ্র“তি দেন শেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জামাল হেসেন। দুর্গম রাস্তাঘাট সংস্কার ও প্রাকৃতিক এই পানির অপচয় রোধে কার্যকরি পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকাবাসী।
মন্তব্য করুন