
		কুমিল্লার মুরাদনগর উপজেলায় হিন্দু নারীর সাথে ঘটে যাওয়া অপ্রীতিকর ঘটনায় সমবেদনা প্রকাশ করতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের পাশে দাঁড়িয়েছেন কুমিল্লা-৩ (মুরাদনগর) আসনের সাবেক পাঁচবারের এমপি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান কাজী শাহ মোফাজ্জল হোসেন কায়কোবাদ।
সোমবার (১ জলাই) ভুক্তভোগীর বাড়ি মুরাদনগরের পাচকিত্তা বাহারচরে গিয়ে তিনি ভুক্তভোগীর পরিবার ও স্থানীয় হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং হীনমন্যতায় না ভোগার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, "আমি যেমন এ মুরাদনগরের সন্তান, তেমনি আপনারাও এই মাটিরই সন্তান। এখানে আমার যেমন অধিকার, আপনাদেরও তেমন অধিকার রয়েছে। ধর্মের ভিত্তিতে কাউকে হেনস্থা করার সুযোগ নেই।"
কায়কোবাদ আরও বলেন, "আপনারা আমার ভাই। আমি হিন্দু-মুসলিম ভেদাভেদ বুঝি না। আমি বুঝি, আপনারা সবাই আমার ভাই। আমি আপনাদের আপনজন।
আপনারা জানেন, এই ঘটনায় বিএনপির কোনো সংযোগ নেই। মুরাদনগর থানার ওসি, আওয়ামী লীগের কথিত সাংবাদিক এবং যুবলীগ নেতাকে দিয়ে বিএনপির নাম জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। অথচ মূল আসামি ছিলেন আওয়ামী লীগের কর্মী।"
তিনি আরও অভিযোগ করেন, "মুরাদনগরে হিন্দু সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক নষ্ট করতে আওয়ামী লীগ ও এনসিপি ষড়যন্ত্র করেছে, তবে সেই ষড়যন্ত্র সফল হয়নি, হবেও না ইনশাআল্লাহ।"
তিনি বলেন, "৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের পতনের পর যারা পালিয়েছিল, তারা বর্তমানে এনসিপির ব্যানারে সক্রিয়। মুরাদনগরের ওসি ও কুমিল্লার এসপি তাদেরকে আশ্রয় দিচ্ছে।"
"এই মামলাটি এখনও তদন্তাধীন, তাই আমি বিস্তারিত কিছু বলতে চাই না। তবে সুষ্ঠু বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমি এসেছিলাম সকলের সাথে দেখা ও কথা বলতে, কিন্তু ষড়যন্ত্র করে পুলিশ ও শিশু উপদেষ্টা সেই পথ রুদ্ধ করেছে।"
তিনি আরও বলেন, "যেদিন থেকে কুমিল্লার এসপি বদলি হয়ে এসেছেন, সেদিন থেকেই পুলিশ দিয়ে বিএনপির বিরুদ্ধে কাজ শুরু হয়েছে।" "মুরাদনগরের হিন্দুরা সবসময় আমাকে সর্বোচ্চ ভোট দিয়েছে। আমার বিরুদ্ধে যখন মামলা হয়, তখন তার প্রতিবাদে হিন্দুরা মানববন্ধন করেছেন। তাই আমাদের সম্পর্ক নষ্ট করতে আওয়ামী লীগ নেতাকে বিএনপি বলে অপপ্রচার চালানো হয়েছে।"
তিনি বলেন, "ওরা চায় হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা লাগিয়ে এই দেশকে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত করতে। ওদের ষড়যন্ত্র শুধু বিএনপির বিরুদ্ধে নয়, আমাদের প্রিয় মাতৃভূমির বিরুদ্ধেও।"
তিনি আরো বলেন, "গত ২৬ জুন হিন্দু নারীর ওপর ঘটে যাওয়া ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই। যারা এই পাশবিক ঘটনার সঙ্গে জড়িত, তাদের অবশ্যই বিচারের আওতায় আনতে হবে, তবে যেন কোনো নিরপরাধ ব্যক্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হন।"
"নারীদের সম্মান করতে হবে। অন্যায় ও অনাচার থেকে দূরে থাকতে হবে। তারেক রহমানের দেওয়া ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি নিরাপদ বাংলাদেশ গড়তে সবার সহযোগিতা চাই।"
মন্তব্য করুন