
প্রেমের টানে ধর্ম পরিবর্তন করলেও সংসার করা হচ্ছে না রায়হানার। পছন্দের মানুষকে বিয়ে করতে কলি রানী খা হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে হয়েছেন রায়হানা। পরে রায়হানা রহুল আমিন কে গত ১ জুলাই বিয়ে করে সংসার শুরু করেন। তবে সেই সংসার করা আর হচ্ছে না প্রাপ্ত বয়স্ক রায়হানা ও রহুল আমিন দম্পতির।
শনিবার (৬ জুলাই) গভীর রাতে নওমুসলিম রায়হানা কে জোরপূর্বক তার স্বামীর কাছে থেকে পুলিশ ও বিএনপি নেতার সহযোগিতায় স্বজনরা তাকে নিয়ে যায়। মেয়ে নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়া আইন সম্মত হলেও প্রাপ্ত বয়স্ক একটা মেয়েকে পরিবারের কাছে জোরপূর্বক ভাবে আটক রাখা অপরাধ বলে মনে করছেন আইনজীবীরা৷ পরিবারের কাছে যেতে না চাইলে ঘটনাস্থলে মারধরের অভিযোগে নওমুসলিম নারীর স্বামী রুহুল আমিন ধামরাই থানায় ৪ জনের নাম উল্লেখ করে এবং ৭/৮ জনকে অজ্ঞাত করে একটি লিখিত অভিযোগ করেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রায়হানা পূর্বে হিন্দু সম্প্রদায়ের ছিলেন। গত ১ জুলাই আদালতে গিয়ে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে নিজের ধর্ম ও নাম পরিবর্তন করে রায়হানা নামে পরিচিত হয়ে মুসলিম ধর্ম গ্রহণ করেন। পরে রহুল আমিন কে বিয়ের ৬ দিন অতিবাহিত হওয়ার পর শনিবার গভীর রাতে বিএনপি নেতা দেবাশীষ চৌধুরী স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ পরে তাকে জোরপূর্বক আটকিয়ে রাখা হয়েছে বলে দাবি করেন তার স্বামী রহুল আমিন।
নওমুসলিম রাইয়ানার মা মিনু রানী খাঁ বলেন, আমার মেয়েকে আমার কাছে নিয়ে এসেছি, সে আমার কাছেই আছে৷ বিবাহের পর জোরপূর্বক বেআইনি ভাবে আটক রাখতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা নিয়ে কিছু কইরেন না আমি বুঝুমনি পরে৷ আমাদের মুরুব্বিরা আনছে তারা ই বুঝবনে৷
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহি উদ্দিন বলেন, মেয়েটি নিখোঁজের অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া আইন সম্মত হলেও তাকে জোরপূর্বক ভাবে আটক রাখা অপরাধ৷ সে যেহেতু প্রাপ্ত বয়স্ক ও নিজ ইচ্ছাতেই ধর্মান্তরিত হয়ে একজন মুসলিম ছেলেকে বিবাহ করেছে আইনগত ভাবে স্বামীর কাছে থাকবে এটাই স্বাভাবিক৷
ধামরাই থানার উপ পরিদর্শক নায়েবুল ইসলাম জানান, মেয়েটিকে খোঁজে না পাওয়ায় ধামরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন ৷ মেয়েটির সন্ধান পাওয়া গেলে স্থানীয়দের মতামতের ভিত্তিতে পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়৷ এই বিষয়ে ধামরাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ মনিরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, জামায়াত ও বিএনপি নেতার সমঝোতার মাধ্যমে মেয়েটিকে তার পরিবারের কাছে বুঝিয়ে দেয়। পরে ৯৯৯ লাইনে কল পেয়ে এসআই নায়েবুল সেখানে যায়। তবে মেয়েটি স্বইচ্ছায় তার পরিবারের কাছে চলে যায়।
মন্তব্য করুন