
		বাংলাদেশে তৃণমূল জনগণের অংশগ্রহণের মাধ্যমে জলবায়ু সুশাসন শক্তিশালীকরণ - এসসিজিজিপি প্রকল্পের আওতায় "ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ইন্টিগ্রিটি ট্রেনিং" অনুষ্ঠিত হয়েছে, যা জলবায়ু সুশাসন শক্তিশালীকরণ প্রকল্পের অংশ।
রবিবার (৩১ আগস্ট) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে দিনব্যাপী সাংবাদিকদের জন্য "ক্লাইমেট ফাইন্যান্স ও ইন্টিগ্রিটি" বিষয়ক ট্রেনিং অনুষ্ঠিত হয়।
এই প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্য ছিল, ক্লাইমেট ফাইন্যান্সের উৎস, ব্যয়, অনিয়ম ও জবাবদিহিতা সাংবাদিকদের মাধ্যমে সঠিকভাবে প্রতিবেদনে উপস্থাপন করা। প্রশিক্ষণে আলোচনা করা হয়, জলবায়ু প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ কোটি কোটি টাকার হিসাব কোথায় যাচ্ছে, তা কিভাবে সংরক্ষণ করা হচ্ছে, এবং সাংবাদিকদের জন্য এটি জনসমক্ষে প্রকাশ করা কতটা জরুরি। বাজেট বিশ্লেষণ, অনিয়ম ও ঝুঁকি কোথায় হতে পারে, কিভাবে সাংবাদিকরা ফাইন্যান্স মনিটরিং করবেন, সরকারি রিপোর্টের ওপর ভিত্তি করে স্থানীয় জনগণের মতামত সংগ্রহ করবেন এবং বাজেট বনাম বাস্তব কাজের পার্থক্য খুঁজে বের করবেন, এসব বিষয়েও আলোচনা করা হয়।
প্রশিক্ষণের অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বরগুনা জেলায় কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ। প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ওয়েব ফাউন্ডেশন, যা গ্রীন একান্টিবিটি ওয়েলফেয়ার এবং ওয়ার্ল্ড রিসোর্সেস ইনস্টিটিউটের সহায়তায় অনুষ্ঠিত হয়।
প্রকল্পের কর্ম এলাকা হলো বরগুনা জেলার সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন, বেতাগী উপজেলার আটটি ইউনিয়ন, এবং পটুয়াখালী জেলার সদর উপজেলার আটটি ইউনিয়ন ও কলাপাড়া উপজেলার আটটি ইউনিয়ন।
এই প্রকল্প সঠিকভাবে বাস্তবায়িত হলে, জলবায়ু সুশাসন শক্তিশালীকরণে সঙ্ঘবদ্ধ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোর জবাবদিহিতা এবং স্বচ্ছতা বৃদ্ধির জন্য সামাজিক নিরীক্ষায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করবে। এছাড়া, স্থানীয় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়ানোর মাধ্যমে বৃহত্তর জনগণের কাছে জলবায়ু সুশাসন বিষয়ক সচেতনতা বৃদ্ধি পাবে।
ওয়েব ফাউন্ডেশন কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে যে, এই প্রকল্পের মাধ্যমে স্থানীয় সরকার ও কর্মকর্তারা প্রাসঙ্গিক সরকারি সেবা প্রদান এবং জলবায়ু কার্যক্রম বাস্তবায়ন করবে আরও সংবেদনশীল, স্বচ্ছ ও দায়িত্বশীলভাবে। এছাড়া, দুর্যোগ প্রস্তুতি, প্রশমন, জরুরি ব্যবস্থা এবং পুনর্বাসন কর্মসূচি বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কমিটিগুলো তাদের ভূমিকা ও দায়িত্ব পালন করবে।
প্রশিক্ষণে ফ্যাসিলিটেটর হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েব ফাউন্ডেশনের এসসিজিজিপি প্রকল্পের বরগুনা সদরের প্রকল্প কর্মকর্তা মোঃ মাজহারুল ইসলাম এবং কমিউনিটি মোবিলাইজেশন অফিসার মনিরুল ইসলাম।
আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির বৈঠকের বিষয়ে জানিয়ে তিনি বলেন, রোববার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির মিটিং ছিল। দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্র সংসদ নির্বাচনে পুলিশ কর্মক্ষেত্রে যেন নিরপেক্ষ আচরণ করে সেটি নিয়ে আলোচনা হয়েছে।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, বৈঠকে প্রধানত আলোচনা হয়েছে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে। পুলিশ সংস্কার কমিশন, রাজনৈতিক দলের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কার্যক্রম ও মাদক নিয়েও আলোচনা হয়েছে। পাশাপাশি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে উসকানি ও ফেক নিউজ নিয়েও আলোচনা হয়েছে।
এছাড়াও বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, জাতির বৃহত্তর স্বার্থ এবং গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য সব রাজনৈতিক দলকে ক্ষুদ্র ব্যক্তি এবং দলীয় স্বার্থ পরিত্যাগ করে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। ঐক্যে ফাটল ধরলে দোসরারা বিশৃঙ্খলা ও নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে।
সাম্প্রতিক সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুলিশ অ্যাক্টিভ হলে বলে বেশি করে ফেলেছে। ক্রিকেট খেলায় দাগ দিয়ে তো বলা সম্ভব হয় না কোনটা ‘ওয়াইড’ হবে। গতকাল (শনিবার) আগুন ধরার পর পুলিশ বাধা দিয়েছে। কিন্তু নিয়ম হচ্ছে আগুন ধরার আগেই অ্যাকশনে যাওয়া। গতকাল চট্টগ্রামেও একটি ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনাগুলো যেন আস্তে আস্তে কমে যায়, সেজন্য সবার সহযোগিতা দরকার।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর থেকে ঢাকা ও এর আশপাশে এক হাজার ৬০৪টি অবরোধ হয়েছে। ১২৩টি সংগঠন এসব অবরোধ করেছে। এগুলো যদি রাস্তায় না করে তাহলে জনদুর্ভোগ অনেকটাই কমবে। যানজটের বড় একটি কারণ এটি। এ সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে সড়ক বাদ দিয়ে খোলা মাঠ কিংবা উদ্যানে নিজেদের দাবি-দাওয়া চাওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
মন্তব্য করুন