
ফেনীর সোনাগাজীতে বড় ফেনী নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল করে মাছের প্রকল্প স্থাপনের অভিযোগে মামলা হয়েছে। সোনাগাজী মডেল থানায় দায়ের করা মামলায় ১৮ জনের নাম উল্লেখ এবং ৫০-৫৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।
উপজেলার আমিরাবাদ ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ভারপ্রাপ্ত ভূমি সহকারী কর্মকর্তা মো. বেলায়েত হোসেন বাদী হয়ে ১৮ জনের নাম উল্লেখ ও আরও ৫০-৫৫ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলাটি করেন। আসামিরা হলেন, আমিরাবাদ ইউনিয়ন বিএনপির সদ্য সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান, জেলা যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মহিম, নুর আলম, নিজাম উদ্দিন, মিরসরাই বিএনপি নেতা শেখ ফরিদ মেম্বার, জেলা ছাত্রদলের সদস্য শরিফুল ইসলাম রানা, মুন্সি, জেলা যুবদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোহাম্মদ মাসুদ, আজিজ মেম্বার, শাহজাহান সাজু, হক সাহাব, ছাত্রদল নেতা নুর আলম শামীম, মাসুদ, যুবদল নেতা নিজাম হাজারীর ভাগিনা হায়দার আলী মাসুদ ভূঁইঞা, রিপন, রাজু, মিলন ভূঁইঞা ও উপজেলা মৎস্যজীবী দলের সদস্য সচিব আব্দুল আউয়াল সজীব।
মামলার সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ থেকে ২৯ আগস্ট পর্যন্ত নবাবপুর ইউনিয়নের রঘুনাথপুর ও মোবারকঘোনার বড় ফেনী নদীর পাড় থেকে আসামিরা অবৈধভাবে ড্রেজিং মেশিন ব্যবহার করে বালু-মাটি উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল করে মাছের প্রকল্প স্থাপন করে। এতে নদীর তীর ভাঙন, বালুর চর সৃষ্টি ও বসতবাড়ি নদীগর্ভে বিলীন হওয়ার ঝুঁকি তৈরি হয়েছে।
অন্যদিকে, ৯ থেকে ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আমিরাবাদ ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার কলমির চর থেকে আরেক দল আসামি স্কেভেটর মেশিন ব্যবহার করে সরকারি জমি কেটে মাটি উত্তোলন, জমির শ্রেণি পরিবর্তন ও মাছের প্রকল্প স্থাপন করেছে। মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, আসামিরা বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইন ২০১০ (সংশোধনী ২০২৩), ভূমি অপরাধ প্রতিরোধ ও প্রতিকার আইন ২০২৩ এবং পরিবেশ সংরক্ষণ আইন ১৯৯৫ লঙ্ঘন করেছে।
এ বিষয়ে প্রশাসন একাধিকবার যৌথ অভিযান পরিচালনা করলেও আসামিরা পুনরায় অবৈধভাবে বালু উত্তোলন ও সরকারি জমি দখল কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার সোনাগাজী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বায়েজিদ আকন এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, এ ঘটনায় বুধবার থানায় একটি মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা করা হবে।
মন্তব্য করুন