
		কিশোরগঞ্জে চুরির অপবাদ দিয়ে এক যুবককে প্রকাশ্যে পেটানোর ঘটনায় আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুস সালামকে (৫৩) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে সদর উপজেলার বৌলাই ইউনিয়নের নাকভাঙ্গা এলাকায় কিশোরগঞ্জ-করিমগঞ্জ সড়কের পাশ থেকে তাকে আটক করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃত আব্দুস সালাম বৌলাই ইউনিয়ন কৃষক লীগের সভাপতি এবং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহ-সাধারণ সম্পাদক। গত মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে বৌলাই ইউনিয়নের পুরান বৌলাই গ্রামে সজল মিয়ার বাড়িতে চুরির অভিযোগ ওঠে।
এসময় স্থানীয়রা সন্দেহভাজন হিসেবে একই এলাকার সোহরাব উদ্দিন ও এরশাদ মিয়াকে আটক করে। পরে গ্রাম্য মাতব্বরদের মধ্যস্থতায় তাদের ছেড়ে দেয়া হলেও পরদিন বুধবার সকালে স্থানীয় গ্রাম্য শালিশে ডেকে এনে তাদের মারধর করা হয়।
শালিশে আব্দুস সালাম নিজেই কঞ্চি দিয়ে এরশাদ মিয়াকে বেত্রাঘাত করেন। ভিডিওতে দেখা যায়, এরশাদ মিয়া বারবার আল্লাহর কসম খেয়ে নির্দোষ দাবি করছেন এবং সালামের পায়ে হাত রেখে ক্ষমা চাইছেন। তবুও তাকে ও সোহরাব উদ্দিনকে প্রকাশ্যে নির্যাতন করা হয়। পরে শালিশে রায় ঘোষণা করে আব্দুস সালাম জানান, এরশাদ ও সোহরাবকে ৫০ হাজার টাকা করে মোট ১ লাখ টাকা জরিমানা দিতে হবে
অভিযুক্ত সোহরাব উদ্দিন জানান, তিনি মাছ ধরার জন্য স্থানীয় সাবেক মেম্বার হাছান রাব্বানী লালুর সঙ্গে বের হয়েছিলেন। কিন্তু পরে তাকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে নির্যাতন করা হয়। একইভাবে এরশাদ মিয়াও জানান, তিনি নির্দোষ থাকা সত্ত্বেও অন্যায়ভাবে মারধরের শিকার হয়েছেন।
সাবেক মেম্বার লালু বলেন, সোহরাবকে শুধু শুধু চোরের অপবাদ দেয়া হয়েছে। আমি তার সঙ্গে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। অথচ তাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতন করা হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, চুরির অপবাদে যুবককে নির্যাতনের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। এরপর অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত আব্দুস সালামকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন