
		সিলেটের ওসমানীনগরে প্রায় প্রতিদিনই একটানা ৪-৫ ঘণ্টা বিদ্যুৎ না থাকার ধারাবাহিকতায় বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) দেখা দেয় চূড়ান্ত বিদ্যুৎ সংকট। এদিকে ৪ দফা দাবিতে পল্লী বিদ্যুত অফিসের ৭৭ কর্মচারীর ৫৬ জনই গণছুাট নিয়ে অনুপস্থিত, যার ফলে লাইনে সমস্যা দেখা দিলে সমাধান করতে হচ্ছে বিলম্ব।
হঠাৎ করেই ভয়াবহ লোডশেডিংয়ের কবলে পড়েছে সিলেট। গতকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) একই অবস্থা দেখা যায়। মূলত রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) থেকে লোডশেডিংয়ের মাত্রা আরো বেড়ে গেছে বলে অভিযোগ করে বিভিন্ন উপজেলার বাসিন্দারা জানান গ্রামে ২৪ ঘণ্টার বেশিরভাগ সময়ই বিদ্যুৎহীন থাকে।
বিদ্যুতের সংকটের পাশাপাশি সেবার ঘাটতিও বাড়ছে কর্মচারীদের অনুপস্থিতির কারণে। পল্লী বিদ্যুতের সিস্টেম সংস্কার ও আরইবির শোষণ-নিপীড়ন থেকে মুক্তির দাবিসহ ৪ দফা দাবিতে অফিসের ৭৭ জন কর্মচারীর মধ্যে ৫৬ জনই একযোগে ছুটিতে গেছেন।
যারা আছেন, তারাও নিয়মিত কর্মস্থলে উপস্থিত হন না। ফলে গ্রাহকদের অভিযোগ শোনা বা সমস্যা সমাধানের বদলে ভোগান্তিই বেড়েছে। কয়েকজন গ্রাহক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন,আমরা মাসে মাসে বিল পরিশোধ করি, কিন্তু প্রয়োজনের সময় বিদ্যুৎ অফিসে কাউকে পাওয়া যায় না। সমস্যার কথা বলার মতোও কেউ নেই।
গোয়ালাবাজার আদর্শ সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের গভর্নিংবডির সাবেক সভাপতি আব্দুল জলিল জিলু বলেন, একদিকে লোডশেডিং, অন্যদিকে কর্মচারীদের অনুপস্থিতি—দুটো মিলে ওসমানীনগরবাসীর জীবনকে দুর্বিষহ করে তুলছে। অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ প্রয়োজন।
এ দিকে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ হয়ে যাওয়ায় জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ সংকট তৈরি হয়েছে। ফলে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ঘন ঘন লোডশেডিং দেয়া হচ্ছে। বিপিডিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এ পরিস্থিতি সাময়িক এবং আগামী ২ থেকে ৩ দিনের মধ্যে উন্নতি হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
পিডিবির সিলেট কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে সিলেট নগরের বিদ্যুতের চাহিদা ৪০ মেগাওয়াটেরও বেশি। কিন্তু জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ মিলছে মাত্র ২৫ দশমিক ৩০ মেগাওয়াট। এর মধ্যে আম্বরখানা সাব-স্টেশনে দেয়া হয়েছে ১৩ মেগাওয়াট, শেখঘাটে ৯ মেগাওয়াট এবং লাক্কাতরায় মাত্র ৩ দশমিক ৩ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
মন্তব্য করুন