
		উপাচার্যের কাছ থেকে দাবি পূরণের আশ্বাস পেয়ে তিন দিনের মাথায় অনশন ভাঙলেন সাত দফা দাবিতে আন্দোলনে থাকা চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের নয় শিক্ষার্থী। আজ শুক্রবার বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপাচার্য অধ্যাপক ইয়াহইয়া আখতার প্রক্টর কার্যালয়ের সামনে অবস্থানরত আন্দোলনকারীদের জুস পান করিয়ে অনশন ভাঙ্গান। তাঁদের আগামী রোববার বিকেলে বৈঠকে দাবির বিষয়ে আলোচনা করার আশ্বাস দিলে তাঁরা অনশন ভাঙেন।
সেসময় উপাচার্য ছাড়াও সহ-উপাচার্য (একাডেমিক) অধ্যাপক শামীম উদ্দিন খান, ছাত্র উপদেষ্টা মো. আনোয়ার হোসেন ও সহকারী প্রক্টর নুরুল হামিদ উপস্থিত ছিলেন। ঘটনাস্থলে উপাচার্য বলেন, আমরা রোববার তিনটার দিকে ছাত্রদের সঙ্গে বৈঠকে বসব। তাদের যেসব দাবি-দাওয়া রয়েছে, সেগুলো আমাদের দিয়েছে। রোববার আমরা এই দাবিগুলো সমাধান করব। আমাদের আন্তরিকতার কোনো ঘাটতি হবে না।
অনশন প্রত্যাহার প্রসঙ্গে শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক ও অনশনরত শিক্ষার্থী জশদ জাকির বলেন, উপাচার্য আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, আমাদের কোনো দাবিই অযৌক্তিক নয়।
গত বুধবার দুপুর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অফিসের সামনে আমরণ অনশন চালিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। অনশনে বসা শিক্ষার্থীরা হলেন- চবি শাখা বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর আহ্বায়ক জশদ জাকির, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রীর দপ্তর সম্পাদক নাঈম শাহ জান এবং শিক্ষা ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আহমেদ মুগ্ধ, নারী অঙ্গনের সংগঠক সুমাইয়া শিকদার, শাখা গণতান্ত্রিক ছাত্র কাউন্সিলের আহ্বায়ক ধ্রুব বড়ুয়া, বিপ্লবী ছাত্র যুব আন্দোলনের সংগঠক ঈশা দে, বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের সভাপতি সুদর্শন চাকমা, বাংলা বিভাগের ১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী ওমর সমুদ্র এবং স্পোর্টস সাইন্স বিভাগের ২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী রাম্রা সাইন মারমা।
তাদের সাত দাবি হলো- আহত শিক্ষার্থীদের পূর্ণ তালিকা প্রকাশ ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশে চিকিৎসা প্রদান। নিরাপত্তাহীন অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের জন্য অবিলম্বে মানসম্মত ভ্রাম্যমাণ আবাসনের ব্যবস্থা করা এবং আবাসনচ্যুত শিক্ষার্থীদের মালামাল উদ্ধারে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা।
উদ্ভূত পরিস্থিতিকে ঘিরে বিশেষভাবে চিহ্নিত শিক্ষার্থীদের সব ধরনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। সুষ্ঠু তদন্তসাপেক্ষে প্রকৃত অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনা এবং নিরপরাধ এলাকাবাসীদের হয়রানি বন্ধ করা। বৈপরীত্যমূলক দ্বন্দ্ব-সংঘাত নিরসনে উভয়পক্ষের অন্তর্ভুক্তিমূলক সমন্বয় কমিটি গঠন করা এবং ন্যূনতম তিন মাস পর পর মিটিং করা। সিন্ডিকেট কর্তৃক গৃহীত সিদ্ধান্ত এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের রোডম্যাপ প্রকাশ ও বাস্তবায়ন করা। শিক্ষার্থী আহতের ঘটনায় প্রশাসনের ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে নিয়ে প্রক্টরিয়াল বডিকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চেয়ে পদত্যাগ করতে হবে।
মন্তব্য করুন