
		নিয়ম বহির্ভূত ভাবে বহিষ্কার করায় এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন বরিশালের উজিরপুর উপজেলার ৩ নং জল্লা ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক সহকারী অধ্যাপক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান। আজ ১৬ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বেলা ২-৩০ মিনিটে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি তার বহিস্কারের বিরুদ্ধে এ প্রতিবাদ জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মিজানুর রহমান জানান, তিনি ছাত্রদলের ইউনিয়ন সভাপতি থেকে শুরু করে যুবদল ও সর্বশেষ দুই বার জল্লা ইউনিয়ন বিএনপি'র সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বিএনপির দলীয় মনোনয়ন নিয়ে তিনবার জল্লা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন। তার প্রেক্ষিতে তিনি তৎকালীন ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের তিনটি রাজনৈতিক মামলার আসামি হয়ে জেল খেটেছেন। দলের দুঃসময়ে অর্থ শ্রম ব্যয় করেছেন।
হঠাৎ করে একটি কুচক্রী মহলের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য একটা মিথ্যা কল্পকাহিনী তৈরি করে আমাকে কোন প্রকার পূর্ব নোটিশ না দিয়ে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পদ ও দল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার একটা নোটিশ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রচার করে দেয়। যার ফলে আমি রাজনৈতিক, সামাজিক ও পারিবারিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন হই।
মিজানুর রহমান বলেন আমাকে আগামী চেয়ারম্যান নির্বাচন থেকে দূরে সরিয়ে রাখতে ও আমার মান-সম্মান হেয় প্রতিপন্ন করতে কঠিন ষড়যন্ত্রের করছে একটি মহল। এ বিষয়ে আমাদের উপজেলা বিএনপির সভাপতি এস সরফুদ্দিন উদ্দিন আহমেদ সান্টু ভাই শুধুমাত্র কান কথা শুনে কোন স্বাক্ষী প্রমাণ ছাড়াই আমাকে পদ ও দল থেকে বহিষ্কার করেন। কোন প্রকার আত্মপক্ষ সমর্থন ছাড়া কাউকে বহিষ্কার অথবা শাস্তি দেওয়া যায় তা আমার বোধগম্য নয়। তাই আজ সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আমাকে অন্যায় ভাবে বহিষ্কার করায় আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
সংবাদ সম্মেলনে মিজানুর রহমান আরো বলেন আমি আমার এলাকার জনগণের সেবায় নিয়োজিত ছিলাম আছি এবং ভবিষ্যতে থাকবো। আগামী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে নিজেকে প্রস্তুত করেছি। আমার জনপ্রিয়তা দেখে একদল বসন্তের কোকিল ও অনুপ্রবেশকারী হাইব্রিড বিএনপির ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছি। তাই আমি গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ভাবে আমাকে বহিষ্কার আদেশ দেওয়া হয়েছে তাহা প্রত্যাহার করে স্বপদে বহাল রাখার দাবী জানান তিনি।
মন্তব্য করুন