
		যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য পদ থেকে তৎকালীন পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদকে অপসারণের দাবিতে জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলামের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। আজ মঙ্গলবার দুপুরে কালেক্টরেট চত্বরে অবস্থান কর্মসূচি পালন শেষে স্মারকলিপি দেন যশোর জেলার ক্রীড়া সংগঠক, সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য পলাতক কাজী নাবিল আহমেদের ছোট ভাই বাংলাদেশে ক্রিকেট বোর্ডের তৎকালীন পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য নির্বাচিত করার প্রতিবাদ এবং অপসারণের দাবিতে যশোরে অবস্থান কর্মসূচি পালন ও জেলা প্রশাসক বরাবর ওই স্মারকলিপি দেয়া হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাবেক জাতীয় ফুটবলার সৈয়দ মাশুক মো. সাথী, জেলা দলের সাবেক ক্রিকেটার মুনির আহমেদ সিদ্দিকী বাচ্চু, মোস্তাক নাসির টনি, খান শফিক মো. রতন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাবেক সহ-সভাপতি মির্জা আখিরুজ্জামান সান্টুসহ প্রমুখ।
স্মারকলিপি প্রদানকালে তারা বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটিতে নতুন সদস্য হিসেবে কাজী ইনাম আহমেদ বিগত দিনে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাথে জড়িত ছিলেন, কিন্তু কার্যত উনি খেলার উন্নয়ন, ক্রীড়া সংস্থার উন্নয়ন, মাঠ, খোলায়াড়দের ভালো মন্দ সুযোগ সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামে জনসভা করার কারণে স্টেডিয়ামের গ্যালারী ভাঙ্গাসহ মাঠের ক্ষয়ক্ষতি উনার মাধ্যমে এবং প্ররোচনায় করা হয়েছিলো। আমরা জানতে চাই কার সুপারিশে এবং কোন অথরিটির মাধ্যমে এই সদস্য পদটি যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থায় এডহক কমিটিতে সংযোজন করা হলো।
তারা আরো বলেন, কাজী ইনাম আহমেদ সদস্য হওয়ায় যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এবং যশোর ক্রীড়াঙ্গনে কোন সুফল বয়ে আনা তো দূরের কথা বরং জেলা ক্রীড়া সংস্থার বিগত ১৪ বছরের অচলাবস্থা এবং জটিলতা আরো বৃদ্ধি হবে। উনি শুধু ব্যক্তি স্বার্থে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থাকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে থাকেন। যা উনি বিগত বছর গুলোতেও করেছিলেন।
বিগত ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের 'আমলে যশোর সংসনীয়-৩ আসনের বিনা ভোটের এমপি কাজী নাবিল আহমেদ এর ভাই হওয়ার সুবাদে অবৈধ প্রভাব বিস্তার করে কিছু সুবিধাভোগী, দুর্নীতি পরায়ন সংগঠককে সাথে নিয়ে অনৈতিক আর্থিক সুবিধা পাইয়ে দেয়ার আশ্বাসে ক্রীড়াঙ্গনে মারাত্মকভাবে বিভাজন সৃষ্টি করেছিলেন এবং সর্বক্ষেত্রে একনায়কতন্ত্রের আমল জারী করেছিলেন। যেটা ক্রীড়াঙ্গণের ক্ষেত্রে একেবারেই বেমানান।
কোন সংগঠক বা খেলোয়াড় তাদের ব্যক্তিগত মতামত ব্যক্ত করতে পারতেন না। সঠিক, সত্য, নিরপেক্ষ কথা বললে তাকে মাঠ থেকে তিরস্কৃত হতে হতো। যার ফলে বিগত দিনে কাজী ইনাম আহমেদ জেলা ক্রীড়া সংস্থায় থাকাকালীন ক্রীড়াঙ্গনের দক্ষ সংগঠক এবং সাবেক ও বর্তমান খেলোয়াড়রা মাঠ বিমুখ হয়ে পড়েছিলেন।
কাজী ইনাম আহমেদকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটিতে একজন সদস্যের নাম বাদ দিয়ে অন্তর্ভুক্ত করায় তীব্র প্রতিবাদ ও অসন্তোষ প্রকাশ সহ অনতিবিলম্বে তাকে যশোর জেলা ক্রীড়া সংস্থার এডহক কমিটির সদস্য পদ থেকে অপসারণ করার জোর দাবি জানান তারা। সেই সাথে কমিটি থেকে কাজি এনামের পদ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দেন এবং আগামীকাল বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় যশোর শামস-উল-হুদা স্টেডিয়ামের আমেনা খাতুন ক্রিকেট গ্যালারীর নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেন।
মন্তব্য করুন