
		জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান বলেছেন, ১১টি কমিশন করা হয়েছে। শিক্ষা কমিশন কিন্তু করা হয়নি। প্রাথমিক শিক্ষা পর্যায়ে একটা তদারকি কমিটি করা হয়েছে, যার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন হয়নি। শিক্ষাখাতে জিডিপিতে এবার ১.৫৩ শতাংশ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। আফগানিস্তানের মতো একটি দেশে ৪ শতাংশ জিডিপি দেওয়া আছে। বাংলাদেশের চারপাশে যত দেশ আছে সব দেশেই ৩ এর উপরে। আমাদের দেশে মাত্র ১.৫৩ শতাংশ। সেই দেশে স্বপ্ন কিভাবে, মানুষ স্বপ্নের মতো বড় হবে কিভাবে। কেন শিক্ষা সংস্কার কমিশন করা হয়নি, এ বিষয়ে তদারকি করতে হবে। শিক্ষাখাতে বরাদ্দ পর্যায়ক্রমে কেন কমছে এমন প্রশ্নও করেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ ৫ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের সংবর্ধণা অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। লক্ষ্মীপুর সোসাইটি ও আলফা স্টার ফাউন্ডেশনের ব্যানারে এ আয়োজন করা হয়।
তিনি আর বলেন, বাংলাদেশে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করার শিক্ষার্থীদের মধ্যে বেকারত্বের হার ১২.৩ শতাংশ। বাংলাদেশে এতোগুলো সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থাকার পরও ৪০ লাখের মত বেকার। তার মধ্যে জিপিএ ৫ পাওয়ায় অধিকাংশ। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা ভর্তি হয় তাদের অধিকাংশই জিপিএ ৫ পাওয়া।
জাবি উপাচার্য আরও বলেন, ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানে দেখেছি উপাচার্য এবং বায়তুল মোকাররমের ইমাম পালিয়ে যায়। আমরা যদি মেধাভিত্তিক একটা সমাজ ও মেধার ভিত্তিতে এই জায়গাটিকে বন্ধন করতে যাই, যদি এই ধরনের মানুষদেরকে দায়িত্ব দিতে যাই- তাহলে ছাগল কান্ডের মতিউর আর বেনজীরদের সংখ্যা বাড়তে থাকবে, তার বাহিরে কিছু কি আছে? আমরা এমন একটা সমাজ চাই, যেখানে বেনজীর-মতিউররা জন্মাবে না। শুধু জিপিএ ৫ পাওয়া মানুষের সংখ্যা বাড়বে না। নৈতিকভাবে আলোকিত মানুষ দরকার।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানির সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ মোহাম্মদ মঞ্জুরুর রহমান, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক কামরুন নেছা খন্দকার, লক্ষ্মীপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক হাসিবুর রহমান হাসিব, বাফুফের সহ-সভাপতি ওয়াহিদ উদ্দিন চৌধুরী হ্যাপি, রাজধানীর মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের অধ্যক্ষ এইচএম অলি উল্লাহ প্রমুখ। 
মন্তব্য করুন