
		যশোর মনিরামপুরের ভবদাহ অঞ্চলের পাঁচ নদী পুনঃখনন করার কাজ উদ্বোধন করা হয়েছে।
‘কপোতাক্ষ নদ ও তৎসংলগ্ন এলাকার জলাবদ্ধতা দূরীকরন প্রকল্পের’ আওতায় শুক্রবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর ১২টায় ভবদহের সুইস গেটের পাশে এ উদ্বোধন আয়োজন করা হয়।
গেল বর্ষা মৌসুমের বৃষ্টিতে ভবদহের আড়াই শ’ গ্রাম তলিয়ে গেছে। পানিবন্দি হয়ে পড়ে প্রায় চার লাখ মানুষ। বর্ষা মৌসুমে গেলেও এখনও প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে হাঁটু পানি। ডুবে আছে ঘের, ফসলি জমি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।
যশোরের অভয়নগর, মণিরামপুর ও কেশবপুর উপজেলা এবং খুলনার ডুমুরিয়া ও ফুলতলা উপজেলার অংশবিশেষ নিয়ে ভবদহ অঞ্চল। পলি পড়ে এই অঞ্চলের পানি নিস্কাশনের একমাত্র মাধ্যম মুক্তেশ্বরী, টেকা, আপারভদ্রা নদী, শ্রী ও হরি নদ নাব্যতা হারিয়েছে। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার শিকার এ অঞ্চলের মানুষ। এ কারণে ভবদহকে ‘যশোরের দুঃখ’ হিসেবে অভিহিত করা হয়।
ভবদহের ২১ ভেল্ট এলাকা থেকে সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেড কাজের উদ্বোধন করেন। এ সময় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে উপস্থিত ছিলেন প্রকল্প পরিচালক লেঃ কর্ণেল মামুন উর রশিদ, জেলা প্রশাসক আজাহারুল ইসলাম,পাউবো যশোরের নির্বাহী প্রকৌশলী পলাশ কুমার ব্যানার্জী সহ মনিরামপুর, কেশবপুর ও অভয়নগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সহ যশোর পানি উন্নয়ন বোর্ডের অন্যান্য কর্মকর্তারা।
জলাবদ্ধতার স্থায়ী সংকটের এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণ ও চার দশকের দুঃখ ঘোচাতে সর্বশেষ চলতি বছরের ২৩ সেপ্টেম্বর যশোর ও খুলনার ভবদহ অঞ্চলের দীর্ঘদিনের জলাবদ্ধতা নিরসনে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ণ বোর্ড এবং সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনস্ট্রাকশন ব্রিগেডের মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। ১৪০ কোটি টাকা ব্যায়ে প্রকল্পের আওতায় নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে ভবদহ অঞ্চলের পাঁচটি নদী ৮১.৫ কিমি পুনঃখনন করার অনুমোদন দেয়া হয়। এর আগে ভবদহের আমডাঙ্গা খাল খনন ও বেড়িবাঁধ নির্মাণের ৪৯ কোটি টাকার অনুমোদন দেয় সরকার।
উপস্থিত বক্তারা বলেন, আজ থেকে ভবদহ এলাকায় নদী পুনঃখননের কাজ শুরু হলো। টেকা হরিহর নদীর কাজ শুরু হলে ভবদহর দুর্ভোগ লাঘব হবে। খননের পর পলি অপসারণের একটি প্রকল্প গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া আমডাঙ্গা খাল খননের জমি অধিগ্রহণ ছাড়াও বেঁড়িবাধ নির্মাণ কাজ চলমান। এসব প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ভুক্তভোগীদের ভোগান্তি লাঘব হবে।
মন্তব্য করুন