
		দুই বছরের মেয়াদি কাজ, কিন্তু কেটে গেছে নয় বছর, তবুও শেষ হয়নি কক্সবাজার সদর উপজেলার ভারুয়াখালী-খুরুশকূল সংলগ্ন ব্রিজের নির্মাণকাজ। দীর্ঘসূত্রিতার কারণে তিনটি ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। দীর্ঘদিনের এই দুর্ভোগের অবসান এবং নিরাপত্তা নিশ্চিতের দাবিতে এলাকাবাসী সোমবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে ভারুয়াখালী দারুল উলুম আলিম মাদরাসা প্রাঙ্গণে গণসমাবেশ ও পদযাত্রার আয়োজন করে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ইফতেহারুল ইসলাম, অধ্যক্ষ বদরুল আলম, জহিরুল ইসলাম, সরওয়ার কামাক, মিজানুর রহমানসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ। এর আগে ভারুয়াখালীতে ডাকাতি ও নিরাপত্তাহীনতা নিরসনে স্থায়ী পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপনের দাবিতে গণস্বাক্ষর গ্রহণ করা হয়।
গণসমাবেশে রশিদনগর ও ভারুয়াখালীবাসীর পক্ষ থেকে আগামী দুই মাসের মধ্যে রশিদনগর-ভারুয়াখালী সড়কে নিরাপত্তা জোরদার, ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন এবং রশিদনগর সড়কটি ২৪ ফুট প্রশস্ত করে ভারুয়াখালী-খুরুশকূল ব্রিজের সঙ্গে যুক্ত করার দাবি জানানো হয়। কক্সবাজার সর্বস্তরের জনসাধারণ এর ব্যানারে আয়োজিত সমাবেশ ও পদযাত্রায় জানানো হয়, দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়ন না হলে কঠোর আন্দোলনের কর্মসূচি দেওয়া হবে।
ব্রিজটি নির্মাণে ৩৬ কোটি ২৮ লাখ টাকা ব্যয়ে কাজটি বাস্তবায়ন করছে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি)। দুটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান মেসার্স তথা কনস্ট্রাকশন ও আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি এমএ জাহের লিমিটেড (জেবি) প্রকল্পের কাজ পেয়েছিল।
২০২৩ সালে কাজ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও দুই দফা সময় বাড়িয়ে ২০২৬ সাল পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। তবে এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, জমি নিয়ে জটিলতা ও ঠিকাদারদের অনাগ্রহে কাজের অগ্রগতি ব্যাহত হয়েছে। এ অবস্থায় তিনটি ইউনিয়নের দুই লক্ষাধিক মানুষ দীর্ঘদিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্নতা, নিরাপত্তাহীনতা ও দুর্ভোগে ভুগছে।
মন্তব্য করুন