
দিনাজপুরের হিলিতে কলার বাগান গড়ে স্বাবলম্বী হয়েছেন শাকিল আনসারী। উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকায় তিনি প্রথমবারের মতো বিশাল একটি কলার বাগান স্থাপন করেছেন। বাগানে এক হাজার তিনশ গাছ এবং তের হাজারেরও বেশি চারা রয়েছে। এখান থেকে তিনি বছরে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় করছেন। বাগানটি কয়েকজন যুবকের কর্মসংস্থানও সৃষ্টি করেছে।
শাকিল আনসারী জজ বলেন, ‘১৫০ শতাংশ জমিতে দুই বছর আগে ১৩০০ গাছ চারা দিয়ে শুরু করি। ছয় মাসের মধ্যে ফল আসতে শুরু করে। বর্তমানে বছরে আড়াই থেকে তিন লাখ টাকা আয় হচ্ছে। চারা, সার, শ্রম ও অন্যান্য খরচ মিলে খরচ হয়েছে প্রায় এক লাখ ১০ হাজার টাকা।’
তিনি জানান, অন্যান্য ফলের তুলনায় কম খরচে বেশি লাভ এবং ভালো বাজার মূল্যের কারণে কলা চাষে আগ্রহ হয়েছে। শুধু ফল বিক্রি নয়, কলার চারা বিক্রি করেও অতিরিক্ত আয় করছে। বাগানে কলার পাশাপাশি রয়েছে জলপাই, আম, পেয়ারা, ডালিম, লিচু, লটকো, কাজু বাদাম ও মাল্টার মতো বিভিন্ন ফলের গাছ।
শাকিল আনসারী বলেন,আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বাম্পার ফলন হয়েছে। মানুষ দেখতে আসে এবং পরামর্শও নিচ্ছে।’
আব্দুর রহিম নামের এক শ্রমিক বলেন, ‘এই বাগানে আমার কর্মসংস্থান হয়েছে। যা বেতন পাই তা দিয়ে সংসার চালাই।’
হাকিমপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরজেনা বেগম জানান, ‘উপজেলায় চার হেক্টর জমিতে কলা চাষ হয়েছে। এটি লাভজনক ফসল। আমরা নিয়মিত পরামর্শ ও কারিগরি সহায়তা দিচ্ছি। কলা ভিটামিন, খনিজ ও ফাইবারের ভালো উৎস। সুপারশপ, স্থানীয় ও পাইকারি বাজারে এর চাহিদা সবসময় থাকে। সঠিক পরিকল্পনা ও সরকারি সহায়তা পেলে আন্তর্জাতিক বাজারেও জায়গা করে নিতে পারবে।’
মন্তব্য করুন