
		নিজস্ব প্রতিবেদক: আওয়ামী লীগ সরকারের উপদেষ্টা, মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী হয়ে বিপুল অর্থের মালিক হয়েছেন অনেকে। লাখপতি থেকে হয়েছেন কোটি কোটি টাকার মালিক। সম্পদহীন স্ত্রীও স্বামীর কল্যাণে সম্পদশালী হয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ডাক, টেলিযোগাযোগ এবং তথ্যও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, নাটোর-৩ আসনের সাবেক এমপি জুনায়েদ আহমেদ পলক বহু কারণে বিতর্কিত। তৃণমূলের নেতা থেকে সংসদে গিয়ে বিপুল অর্থ-বিত্তের মালিক হয়েছেন তিনি ও তার স্ত্রী। ২০০৮ সালের হলফনামার তথ্য বলছে, তার বছরে আয় ছিলো ৫৮ হাজার টাকা, স্ত্রীর কোন আয় ছিলোনা। ২০২৪ এর হলফনামা অনুযায়ী, গ্রেফতার হবার আগ পর্যন্ত তাদের আয় অর্ধ কোটি টাকা।
অস্থাবর সম্পদ দুজনের ছিলো ৩ লাখ ৬৫ হাজার টাকার। ১৫ বছরের ব্যবধানে তা হয় ৬ কোটি ২৮ লাখ টাকার। ২০০৮ সালে পলকের ৫১ শতাংশ জমি ছিলো এখন পৈত্রিক বাড়ি ছাড়াও ২৪৩ শতাংশ কৃষি জমি এবং নাটোরের সিংড়ায় ও ঢাকার পূর্বাচলে প্লট আছে। তার স্ত্রী’র আগে মাত্র ১৫ শতাংশ জমি ছিলো। এখন আছে ১০৩৭ শতাংশ জমি, ঢাকায় দুটি দোকান, একটি ফ্ল্যাট।
বিদুৎ, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও ঢাকা-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য নসরুল হামিদ খান বিপু বছরে আয় করেন ২ কোটি টাকা, তার স্ত্রী’ও আয় করেন ১ কোটি টাকার বেশি। সবশেষ হলফনামার তথ্য বলছে, তারা ৭ কোটি টাাকার বেশি অস্থাবর সম্পদের মালিক। নসরুল হামিদের কৃষি ও অকৃষি জমি আছে ৩০৩২ শতাংশ, বনানীতে বাণিজ্যিক স্পেস এবং পূর্বাচলে প্লট। তার স্ত্রী’র বারিধারায় ফ্ল্যাট ও পূর্বাচলে প্লট আছে।
আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জামালপুর-৩ আসনের সাবেক এমপি, সাবেক পাট ও বস্ত্র প্রতিমন্ত্রী মির্জা আজম এমপি হবার আগে প্রায় সাড়ে চারলাখ টাকা আয় করতেন বছরে। তার স্ত্রী’র আয় ছিলো প্রায় ১০ হাজার টাকা। কিন্তু সংসদ সদস্য হবার পর তাদের দুজনেরই কপাল খুলে যায়। মির্জা আজমের বার্ষিক আয় ৮১ গুণ বেড়ে হয় ৩ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। ১৫ বছর আগে সম্পদ ছিলো ৬৪ লাখ টাকার, এখন সম্পদ ৬৫ কোটি টাকার বেশি। তার স্ত্রী’র কোন উপার্জন না থাকলেও সম্পদ আছে ২৯ কোটি টাকার। দুজনের জমি আছে ২৭৯৩ শতাংশ।
বিতর্কিত ব্যবসায়ী আওয়ামী লীগ নেতা সালমান এফ রহমানের ২০১৮ সালের জমা দেয়া হলফনামায় দেখা যায় তার বার্ষিক আয় ছিলো ৯ কোটি ৩৪ লাখ টাকা, এখন বছরে আয়২৫ কোটি ৩১ লাখ টাকা। ৫ বছরে ব্যবধানে সম্পদ ৩৬ কোটি টাকা বেড়ে হয় ৩১৪ কোটি টাকা।
সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ঢাকা-১২ আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান খান কামাল ও তার স্ত্রী’র বার্ষিক আয় এখন ২ কোটি টাকার বেশি। অথচ ১৫ বছর আগে বছরে তারা বছরে উপার্জন করতেন ২০ লাখ টাকার কম। দুজনের সম্পদ আছে প্রায় ১৯ কোটি ৫০ লাখ টাকার। যেখানে ১৫ বছর আগে কামালের স্ত্রী’র কোন স্থাবর সম্পদই ছিলো না।
মন্তব্য করুন