
		বাংলাদেশ রিফ্রিজারেশন অ্যান্ড এয়ারকন্ডিশনিং মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন (ব্রামা)-এর আসন্ন নির্বাচন ঘিরে উঠেছে তীব্র উত্তেজনা। সংগঠনটির সাবেক সভাপতি ও মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ ওঠার পর থেকেই অস্থিরতা বাড়তে থাকে। অভিযোগ উঠেছে, একটি দুর্নীতিবাজ চক্র নির্বাচন বানচাল করে সংগঠনের নিয়ন্ত্রণ পুনরুদ্ধারের চেষ্টা চালাচ্ছে।
ব্রামা দেশের অন্যতম বৃহৎ এসি ও ফ্রিজ ব্যবসায়ী সংগঠন। সদস্য সংখ্যা হাজার ছাড়িয়েছে। সম্প্রতি সংগঠনের অভ্যন্তরে দুর্নীতি, অনিয়ম ও মানবপাচারের মতো মারাত্মক অভিযোগ সামনে এসেছে। এসব অভিযোগের কেন্দ্রে রয়েছেন আসাদুজ্জামান।
সংগঠনের একাধিক সদস্যের অভিযোগ, ক্ষমতাসীন দলের প্রভাব ব্যবহার করে তিনি সংগঠনের নেতৃত্বে এসে বিপুল সম্পদ গড়ে তোলেন। তার আমলে বিদেশ থেকে নিম্নমানের কুলিং গ্যাস আমদানি হয়, যা এসি বিস্ফোরণের ঘটনায় হতাহত বাড়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। এমনকি সংগঠনের চাঁদার টাকা আত্মসাৎ ও বিদেশ সফরের আড়ালে মানবপাচারের মতো অপরাধে তার জড়িত থাকার প্রমাণও পাওয়া গেছে।
২০২৪ সালের শুরুতে জাপানে পাঠানো এক প্রতিনিধিদলে এমন দুই ব্যক্তি ছিলেন, যারা ব্রামার সদস্য নন। সফর শেষে তারা আর দেশে ফেরেননি। বিশ্বস্ত সূত্র জানায়, তাদের পাঠাতে প্রায় ৪৪ লাখ টাকার চুক্তি হয়েছিল। এমনকি এক সদস্যের পাসপোর্টের কপি সংবাদমাধ্যমের হাতে এসেছে।
২০২৫ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর সংগঠনের অভ্যন্তরে আসাদুজ্জামান বিরোধী ক্ষোভ তীব্র আকার ধারণ করে। এরপর বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে তরফদার সোহেল রহমানকে প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয় এবং নির্বাচনসহ সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনার দায়িত্ব তার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
তবে নির্বাচনের উদ্যোগ শুরু হতেই বিভিন্ন দিক থেকে অপপ্রচার চালানো হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সদস্যদের দাবি, এসবের নেপথ্যে রয়েছেন সাবেক সভাপতি ও তার ঘনিষ্ঠ মহল, যারা অবাধ নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় সংগঠন অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।
পুরানা পল্টনে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় প্রশাসক তরফদার সোহেল রহমান বলেন, “সাবেক সভাপতির সময়ে চাঁদার টাকার কোনো হিসাব ছিল না। প্রতিনিয়ত অনিয়মের প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।” এর পরপরই একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে অপপ্রচারে নেমে পড়ে।
মন্তব্য করুন