
		আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ভারতের পশ্চিমবঙ্গে ফের রাজনৈতিক উত্তেজনা শুরু হয়েছে। রাজ্যটিতে বিজেপির এবার ভরসা অভিনেতা ও দলের অন্যতম পরিচিত মুখ মিঠুন চক্রবর্তীর কাঁধে। গতকাল সোমবার (৩ নভেম্বর) মালদায় দলের বিজয়া সম্মিলনী সভায় হাজির হয়ে মিঠুন ঘোষণা দেন, রাজ্যের প্রতিটি বিধানসভা এলাকায় তৈরি হবে ‘মিঠুন যোদ্ধা’ নামে একটি বিশেষ দল, যার কাজ হবে তৃণমূল কংগ্রেসের ‘সন্ত্রাস’-এর বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে লড়াই করা এবং দলের কর্মীদের তৎক্ষণাৎ সহায়তা করা। তিনি বলেন, ‘এই লড়াই শেষ লড়াই। ভয় পেলে চলবে না, আমরা লড়ব, জিতব।
সভায় মিঠুনের বক্তৃতায় আরও উঠে আসে নির্বাচনি বিতর্কের কেন্দ্রে থাকা ‘স্পেশাল ইন্টেনসিভ রিভিশন (এসআইআর)’-এর প্রসঙ্গও। তিনি তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করে বলেন, এসআইআর-এর বিরোধিতা মানে অভারতীয়দের পক্ষে দাঁড়ানো। নির্বাচন কমিশন তো কোথাও বলেনি কোনো ভারতীয় মুসলিমের ভোটাধিকার কেড়ে নেওয়া হবে। তাহলে এই আতঙ্ক কেন?
বিজেপির এই বিজয়া সম্মিলনী সভায় মিঠুনকে ঘিরে উচ্ছ্বাসও ছিল চোখে পড়ার মতো। কিছু কর্মী সরাসরি তাকে মুখ্যমন্ত্রীর পদে প্রার্থিতারও দাবি জানান। জবাবে মিঠুন বলেন, ‘দল যদি চায়, আমি মুখ্যমন্ত্রী হব। দল যাকে বলবে, তিনিই হবেন মুখ্যমন্ত্রী।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপির এই ‘মিঠুন যোদ্ধা’ কৌশল আসলে একপ্রকার ‘ইমেজ ম্যানেজমেন্ট’। রাজ্যের তরুণদের আকৃষ্ট করা ও সংগঠনে প্রাণ ফেরাতে জনপ্রিয় মুখের ব্যবহার বিজেপির পুরনো কৌশল। কিন্তু তা কতটা বাস্তব রাজনৈতিক সাফল্যে রূপ নেবে, তা নিয়েই এখন প্রশ্ন। কারণ রাজ্যের গ্রামীণ ভোটব্যাংক বিশেষ করে, দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলোতে এখনও তৃণমূলের প্রভাবই অনেক বেশি।
মন্তব্য করুন