মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

ইতিহাসের সত্যানুসন্ধানী মানবতাবাদী লেখক ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ১৭ জুলাই ২০২৫, ০৯:৫৫ পিএম

ইতিহাসের সত্যানুসন্ধানী মানবতাবাদী লেখক ছিলেন অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ

দেখতে দেখতে এভাবেই পেরিয়ে গেল পাঁচটি বছর। বুকভরা কষ্ট আর নিরব আর্তনাদ নিয়ে আজও অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ–এর কবরের পাশে দাঁড়াতে হয়েছে আমাদের। জাতীয়তাবাদের আলোকবর্তিকা, বিএনপির নিঃস্বার্থ পরামর্শদাতা ও পরম বন্ধু রাষ্ট্রবিজ্ঞানী এমাজউদ্দীন আহমদ–কে এ জাতি এত দ্রুত ভুলে যাবে—এমনটা কখনো কল্পনা করিনি।

তিনি ছিলেন দেশের কীর্তিময় আদর্শবাদী শিক্ষক, নিবেদিতপ্রাণ প্রশাসক, ইতিহাসের সত্যানুসন্ধানী মানবতাবাদী সৃজনশীল লেখক এবং কিংবদন্তি রাষ্ট্রবিজ্ঞানী। কিন্তু স্বার্থান্বেষী নিমকহারাম এক শ্রেণির মানুষ গত পাঁচ বছরে তাকে স্মৃতির আড়ালে ঠেলে দিয়েছে। তাদের আচরণ দেখলে হৃদয় ক্ষোভে ছারখার হয়ে যায়।

গুণীজনদের অবদান অনেক সময় ভুলে যাওয়া হয়, কখনো তা স্মরণ করতেও কার্পণ্য করা হয়—এটাই বাস্তবতা। এ বিষয়ে জাতীয় জনতা ফোরামের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও বাংলা পোস্টের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক মোহাম্মদ অলিদ বিন সিদ্দিক তালুকদার বলেন, "মানুষের আগ্রহের পরিবর্তন হয়, নতুন প্রজন্ম নতুন কিছু খোঁজে—তাতে পুরনো অবদান ফিকে হয়ে যায়। কিন্তু সমাজের বৃহত্তর স্বার্থে গুণীজনদের স্মরণ ও সম্মান অতি জরুরি।"

বৃহস্পতিবার (১৭ জুলাই) অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে তাঁর মাগফিরাত কামনায় জাতীয় জনতা ফোরামের উদ্যোগে পবিত্র কুরআন খতম, কবর জিয়ারত ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। জামেয়া ইসলামিয়া আরজাবাদ মিরপুর মাদ্রাসার শিক্ষক মুফতি মাওলানা মঈনুদ্দিন মানিক মোনাজাত পরিচালনা করেন। উপস্থিত ছিলেন সংগঠক কাওছার আহমেদ, মাওলানা আবু রায়হান প্রমুখ।

মোহাম্মদ অলিদ তালুকদার বলেন, “শিক্ষকতার মাধ্যমে তাঁর কর্মজীবন শুরু হয় এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি শিক্ষকতায় নিঃস্বার্থভাবে যুক্ত ছিলেন। এমন কর্মপ্রাণ ও উদ্ভাবনী ক্ষমতাসম্পন্ন মানুষ আমাদের সমাজে বিরল। রাষ্ট্রচিন্তায় তাঁর অবদান অতুলনীয়।”

তিনি আরও বলেন, “অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ ছিলেন একজন সফল প্রশাসক, যিনি দেশের কল্যাণে নিজেকে উৎসর্গ করেছিলেন। ইতিহাস, রাষ্ট্রচিন্তা, দর্শন ও মানবিক বিকাশ বিষয়ে তিনি লিখেছেন শতাধিক গ্রন্থ। তাঁর বিনয়, উদারতা, ও সহিষ্ণুতা ছিল অনুকরণীয়। জীবনের শেষদিন পর্যন্ত তিনি সৃজনশীলতার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।”

মোহাম্মদ অলিদ বলেন, “গুণীজনদের স্মরণে সম্মিলিত সামাজিক উদ্যোগ প্রয়োজন। অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ এবং সাংবাদিক মাহফুজ উল্লাহর মতো রাষ্ট্রচিন্তাবিদদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে তাঁদের কাজ মনের গহীনে সংরক্ষিত থাকবে। এটি মুছে ফেলতে পারবে না স্বার্থান্বেষী নিমকহারাম গোষ্ঠী।”

তিনি বলেন, স্কুল-কলেজে তাঁদের জীবনী অন্তর্ভুক্ত করা, স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ, বিশেষ দিবসে স্মরণ করা—এমন নানা উদ্যোগ গ্রহণ করা উচিত।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
সড়ক অবরোধ করে বসে পড়লেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
সড়ক অবরোধ করে বসে পড়লেন নন-এমপিওভুক্ত শিক্ষকরা
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইউরোপ ও ফ্রেন্ডশিপ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা বিনিময়
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় ইউরোপ ও ফ্রেন্ডশিপ বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের অভিজ্ঞতা বিনিময়
এবার বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারবে বৃত্তি পরীক্ষায়
এবার বেসরকারি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীরাও অংশ নিতে পারবে বৃত্তি পরীক্ষায়
প্রাথমিকে হল সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক পদ
প্রাথমিকে হল সংগীত ও শরীরচর্চার শিক্ষক পদ