
		জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ পদেই শিবির-সমর্থিত প্যানেলের সদস্য নির্বাচিত হলেও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে নির্বাচিত হন স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী প্যানেল থেকে আব্দুর রশিদ জিতু। তিনি তুলনামূলক সাহিত্য ও সংস্কৃতি ইনস্টিটিউটের ৪৭তম ব্যাচের শিক্ষার্থী।
৩ হাজার ৩৩৪টি ভোট পেয়ে শীর্ষ পদে জয়লাভ করে রীতিমতো চমক লাগিয়ে দিলেন জিতু। তিনি জুলাই আন্দোলনের শুরু থেকেই সোচ্চার ছিলেন। এমনকি গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যৌক্তিক সব আন্দোলনের প্রথমসারিতে ছিলেন তিনি।
পূর্বে জিতু ছাত্রলীগের রাজনীতিতে যুক্ত ছিলেন। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সর্বপ্রথম ছাত্রলীগের হাতে মার খেয়ে আহত হন। পরে আরিফ সোহেল আটক হলে তিনি ছাত্রলীগ থেকে পদত্যাগ করে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ব্যানারে ‘ফার্স্ট ম্যান’ হিসেবে ৫ আগস্ট পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলন পরিচালনা করেন।
পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সমন্বয়ক পদ থেকে পদত্যাগ করে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ নামে প্ল্যাটফর্মের সূচনা করেন জিতু। এই প্ল্যাটফর্ম থেকে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন তিনি। এভাবেই তিনি শিক্ষার্থীদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
বর্তমানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘গণঅভ্যুত্থান রক্ষা আন্দোলন’ প্ল্যাটফর্মের আহবায়কের দায়িত্ব পালন করছেন। গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী শিক্ষার্থীদের স্বার্থে যৌক্তিক সব আন্দোলনের প্রথম সারিতে ছিলেন তিনি।
৩৩ বছর পর অনুষ্ঠিত বহুল প্রতীক্ষিত জাকসু নির্বাচন উৎসবমুখর ছিলনা। নানা আলোচনা-সমালোচনা ও ঘটনার পর টানা তিন দিনব্যাপী ভোট গণনা শেষে শনিবার সন্ধ্যা ৭টা ২০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ভবনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক মো. মনিরুজ্জামান। জাকসুর ২৫টি পদের মধ্যে ২০টিতেই জয় পেয়েছে শিবির সমর্থিত সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট। বাকি চারটির মধ্যে দুটি বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদ (বাগছাস) ও দুটি স্বতন্ত্র থেকে নির্বাচিত।
মন্তব্য করুন