
		চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (চাকসু) নির্বাচনে ঘোষিত ১০ প্যানেলে শীর্ষ দুই পদ—সহসভাপতি (ভিপি) ও সাধারণ সম্পাদক (জিএস)-এ ৯টি প্যানেলই কোনো ছাত্রীকে মনোনয়ন দেয়নি। কেবল ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’ জিএস পদে এক ছাত্রীকে প্রার্থী করেছে।
জুলাই আন্দোলনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থীদের সংগঠন ‘স্টুডেন্ট অ্যালায়েন্স ফর ডেমোক্রেসি’ (স্যাড) ও ছাত্র ফেডারেশন একত্র হয়ে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলটি দাঁড় করিয়েছে। তাদের প্যানেল থেকে জিএস পদে নির্বাচন করতে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন পদার্থবিদ্যা বিভাগের শীক্ষার্থী তাসনীম জাহান শ্রাবণ।
প্যানেলগুলো শীর্ষ পদে নারী প্রার্থী না দেয়ার ব্যাপারে তাসনীম জাহান বলেন, ‘নির্বাচনে অংশ নেওয়া বা রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস নিরাপদ নয়। এখানে ছাত্রীদের নিয়মিত বুলিং, শেমিং ও মোরাল পুলিশিংয়ের মতো ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়। অনলাইন ও সরাসরি—দুই ক্ষেত্রেই ছাত্রীরা এসব ঘটনার শিকার হন। তাই অনেকেই রাজনীতিতে যুক্ত হতে চান না।’
নির্বাচনে কার্যনির্বাহী পরিষদের বিভিন্ন পদে মোট ৪২৯ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু সহ-সভাপতি (ভিপি), সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক (এজিএস)—এই তিন শীর্ষ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন ৬৯ জন প্রার্থী।
অন্যান্য পদের প্রার্থীসংখ্যা: ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক: ১২ জন, সহ-ছাত্রী কল্যাণ সম্পাদক: ১১ জন, সহ-খেলাধুলা ও ক্রীড়া সম্পাদক: ১৫ জন, সাহিত্য-সংস্কৃতি ও প্রকাশনা সম্পাদক: ১৮ জন, স্বাস্থ্য সম্পাদক: ১৭ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগ ও অনুষদের প্রতিনিধিত্বকারী নির্ধারিত সদস্য পদগুলোতেও ব্যাপক প্রতিদ্বন্দ্বিতা জমে উঠেছে। ৫টি আসনের বিপরীতে মোট প্রার্থী: ৮৪ জন। শুধু “নির্ধারিত সদস্য–৫” পদেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৩২ জন।
অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ পদ যেমন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি সম্পাদক, আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ক সম্পাদক, বিতর্ক সম্পাদক, সামাজিক ও পরিবেশ সম্পাদক, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদগুলোতেও একাধিক প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিয়েছেন।
২৩ সেপ্টেম্বর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন, আর ২৫ সেপ্টেম্বর প্রকাশ হবে চূড়ান্ত তালিকা। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ১২ অক্টোবর সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ওএমআর পদ্ধতিতে।
মন্তব্য করুন