
		বহুল প্রতীক্ষিত ৪৯তম (বিশেষ) বিসিএসের এমসিকিউ পরীক্ষা শুরু হয়েছে। ঢাকায় আজ শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শুরু হয়েছে। সরকারি কলেজে প্রভাষক নিয়োগের উদ্দেশ্যে আয়োজিত এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন তিন লাখেরও বেশি প্রার্থী। দুই ঘণ্টাব্যাপী এই পরীক্ষা শেষ হবে দুপুর ১২টায়।
জানা গেছে রাজধানীর ১৮৪টি কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। পরীক্ষার্থীদের সকাল ৯-৩০ মিনিটের মধ্যে কেন্দ্রে প্রবেশের নির্দেশনা দেওয়া হয়। প্রশ্নপত্রে থাকবে ২০০টি এমসিকিউ, প্রতিটি সঠিক উত্তরে ১ নম্বর এবং ভুল উত্তরে ০.৫ নম্বর কাটা যাবে। নির্ধারিত কালো বলপেন ব্যবহার করে উত্তরপত্র পূরণ করতে হবে, এবং কেউ দুপুর ১২টার আগে কক্ষ ত্যাগ করতে পারবেন না।
নিরাপত্তার বিষয়েও নেওয়া হয়েছে কঠোর ব্যবস্থা। পরীক্ষাকেন্দ্রে বই, মোবাইল, ঘড়ি, ক্যালকুলেটর, ব্যাগ, গহনা বা কোনো ইলেকট্রনিক ডিভাইস আনা সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। গেটে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশের উপস্থিতিতে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি করা হচ্ছে। এছাড়া কানে কোনো প্রকার আবরণ বা হিয়ারিং এইড ব্যবহারের ক্ষেত্রেও অনুমোদন ছাড়া নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
পিএসসি আরও জানিয়েছে, কোনো পরীক্ষার্থী যদি নকল বা প্রযুক্তিগত অসদুপায় অবলম্বন করে, তবে ২০২৩ সালের সরকারি কর্ম কমিশন আইন ও ২০১৪ সালের বিসিএস পরীক্ষা বিধিমালা অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশন (পিএসসি) জানিয়েছে, এবার মোট আবেদন পড়েছে প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার। ৬৮৩টি শূন্যপদের বিপরীতে গড়ে প্রতি পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ৪৫৬ জন প্রার্থী। এর মধ্যে সরকারি সাধারণ কলেজে ৬৫৩ জন এবং শিক্ষক প্রশিক্ষণ কলেজে ৩০ জন প্রভাষক নিয়োগ দেওয়া হবে। সবচেয়ে বেশি পদ রয়েছে বাংলা বিভাগে- ৬১টি। এরপর রাষ্ট্রবিজ্ঞান (৫৫), ইংরেজি (৫০), অর্থনীতি (৪০), ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি (৩২) এবং দর্শন ও রসায়নে ৩০টি করে পদ রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষা ক্যাডারে শিক্ষক সংকট থাকায় পিএসসি গত ২১ জুলাই এই বিশেষ বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে। আবেদন চলে ২২ জুলাই থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত। সাধারণ প্রার্থীদের আবেদন ফি ছিল ২০০ টাকা, আর ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী, প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের প্রার্থীদের জন্য ৫০ টাকা। বয়সসীমা নির্ধারণ করা হয়েছিল ২১ থেকে ৩২ বছর।
মন্তব্য করুন