বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫
নির্বাচনে কারচুপিসহ নানা অভিযোগ তুলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের প্রার্থীরা। তাদের অভিযোগ, শিবির সমর্থিত প্যানেলকে জেতাতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন জামায়াতের সাথে আঁতাত করেছে।
আজ ১১ সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৪টার দিকে মওলানা ভাসানী হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন ছাত্রদল মনোনীত প্যানেলের সহ-সভাপতি (ভিপি) প্রার্থী শেখ সাদী হাসান। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টারও বেশি সময় আগে ভোট বর্জনের ঘোষণা এলো।
এ সময় জিএস পদপ্রার্থী তানজিলা হোসেন বৈশাখী বলেন, তাজউদ্দীন হলে আমাদের ঢুকতে দেয়নি। ভোটার লিস্টে ভোটারদের ছবি নেই। ২১ নং হলে মব সৃষ্টি করা হয়। জাহানারা ইমাম হলে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে গায়ে হাত তোলা হয়। তিনি আরও বলেন, নির্বাচন নিরপেক্ষতা হারিয়েছে। জামায়াত নেতার সরবরাহকৃত ওএমআর মেশিন আমরা চাইনি। ওই প্রতিষ্ঠানের সরবরাহকৃত ব্যালটেই ভোট হচ্ছে।
তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, ১০-২০% ব্যালট শিবিরকে দেওয়া হয়েছে কিনা। মেয়েদের হলে একই মেয়ে বারবার ভোট দিতে গেছে। শিবিরপন্থী সাংবাদিকরা মিসবিহেভ করেছে ছাত্রদলের প্রার্থীদের সঙ্গে। সুষ্ঠু নির্বাচন হচ্ছে না। এটি কারচুপি ও প্রহসনের নির্বাচন। তাই নির্বাচন বর্জন করতে বাধ্য হচ্ছি। নির্বাচনে শিক্ষার্থীদের রায়ের প্রতিফলন হচ্ছে না।
আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২১টি হলে ২২৪টি বুথে ভোটগ্রহণ হচ্ছে। এবারের নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ ও আংশিক মিলিয়ে মোট ৮টি প্যানেল প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। এর মধ্যে রয়েছে ছাত্রদল সমর্থিত পূর্ণাঙ্গ প্যানেল, ছাত্রশিবির সমর্থিত ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী জোট’, বাগছাসের ‘সম্মিলিত ঐক্য ফোরাম’, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের দুই অংশের পৃথক প্যানেল ‘সম্প্রীতির ঐক্য’ ও ‘সংশপ্তক পর্ষদ’, এছাড়া আরও তিনটি স্বতন্ত্র প্যানেল।
নির্বাচনে মোট ১১ হাজার ৮৯৭ শিক্ষার্থী ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। জাহাঙ্গীরনগরের ইতিহাসে এটি হবে ১০ম জাকসু নির্বাচন এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে বড় গণতান্ত্রিক অনুশীলনের দৃষ্টান্ত।
মন্তব্য করুন
