
		স্বাধীনতা পরবর্তীকালে ‘পপ’ গানের জোয়ার এসেছিল দেশে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের তারুন্য এই গানে বুঁদ হতে শুরু করেছিল। সিডি বা ক্যাসেটের যুগ না থাকলেও এখন পর্যন্ত পপ বা ব্যান্ড সংগীতের জনপ্রিয়তা কমে নি। বাংলাদেশের ব্যান্ড সঙ্গীতের পথিকৃত কন্ঠ ধরা হয় মুক্তিযোদ্ধা ‘পপগুরু’ খ্যাত আজম খানকে। আজম খানের জনপ্রিয় গানের সংখ্যা অনেক। তাঁর সেরা দশ গান বাছাই করলে কোন কোন গান আসবে তালিকায়?
ওরে সালেকা ওরে মালেকা
স্বাধীনতার পর থেকে আজ পর্যন্ত এই গানের জনপ্রিয়তা কমে নি। আজম খানকে জনপ্রিয় করে তোলা প্রথম গান এটা। বন্ধুর বাড়ির ‘ছাঁদ পেটানোর তাল’ থেকে এই গানের জন্ম। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে নৌকাডুবিতে মারা যেত অনেকে। ‘হিংস্র স্রোত নিয়ে গেল’- আছে গানের কথায়। পরবর্তীকালে ‘গডফাদার’ ছবিতে গানটি ব্যবহৃত হয়েছিল।
বাংলাদেশ
আরেক অমর গান ‘রেললাইনের ঐ বস্তিতে জন্মেছিল একটি ছেলে’। আজও কনসার্টে কেউ না কেউ এই গান গায়। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে রেললাইনের বস্তিতে বাস করা মানুষের দুঃখ দুর্দশা যেন আছে এই গানে।
আলাল ও দুলাল
এমন সহজিয়া সুর ও আনন্দের গান কমই হয়েছে। তুমুল জনপ্রিয় হয়েছিল এই গান। চানখার পুলে যেয়ে হাজী চানকে খুঁজতো মানুষ। ভাবতো সত্যি নত্যি এই নামে কেউ আছে!
পাপড়ি
নাম নিয়ে গান গাওয়া শুরু করেছিলেন আজম খানই। হোক সেটা সালেকা মালেকা ফুলবানু বা আলাল ও দুলাল। প্রথম তার গানে একভাবে মৌসুমী নামটা এসেছিল-‘হৃদয় সাগর মরুভ‚মি/মৌসুমি’। কিন্তু ‘সারারাত জেগে জেগে কত কথা আমি ভাবি/পাপড়ি কেন বোঝে না’ গানটা ধুন্দুমার জনপ্রিয় হয়ে যায়। পরবর্তীবালে অনেকেই গানটা গেয়েছেন এবং কোটির বেশি মানুষ আবারও শুনেছে এই গান।
আমি যারে চাইরে
আমি যারে চাইরে সে থাকে মোরই অন্তরে গানটা এখনও সমান জনপ্রিয়। কোনো এক কনসার্টে সারারাত ধরে এই গানটাই গাইতে হয়েছিল আজম খানকে।
হাইকোর্টের মাজারে কত ফকির ঘোরে
হাইকোর্টের মাজার থেকে ফেরার আগে পকেটমার হয় আজম খানের। নিজেকে তখন তিনি প্রশ্ন করেন-হাইকোর্টের মাজারে কত ফকির ঘোরে কয়জনা আসল ফকির? এই প্রশ্ন আজও রয়ে গেছে।
আসি আসি বলে তুমি
আজম খানের আরেক ‘সিগনেচার টিউন’ ধরা হয় এই গানকে। আসি আসি বলে তুমি আর এলে না। সুর ও সঙ্গীত আয়োজনের কারণে এই গান হয়ে ওঠে উম্মাদনার আরেক নাম।
অভিমানী তুমি কোথায় হারিয়ে গেছ
আজম খানের আরেক জনপ্রিয় গান। এই গান স্টেজে শুরু হলেই নেচে উঠতো শ্রোতা দর্শকরা। কনসার্টে এই গান নিয়মিত গাইতেন তিনি।
ও চাঁদ সুন্দর রূপ তোমার
এই গানের কথা আজম খান বলেছেন অনেকবার। গানটা তার নিজের খুব প্রিয় ছিল। কাব্য করে বলতেন-‘যখন আসে অমাবস্যা ভীষণ অন্ধকার/তখন বুঝি চাঁদের আলো সবটুকই থার!/আমার প্রিয়ার রূপের আলো নিজস্বই তার!
চুপ চুপ অনামিকা চুপ
আজম খানের এই গানটাও ম্যাসিভ হিট হয়েছিল। আজও সমান জনপ্রিয় এই গান
মন্তব্য করুন