
		কোভিড মহামারীর সময়ে একটি ধারণা প্রচলিত হয়েছিল যে বক্স অফিসে কেবল ‘বড় পর্দার যোগ্য’ ছবিগুলোই সফল হবে। এই তত্ত্বের সমর্থকরা মনে করতেন যদি একটি ছবিতে সেইসব সিনেম্যাটিক উপাদান না থাকে এবং সেটি প্রেক্ষাগৃহে নাকি বাড়িতে দেখা হচ্ছে তাতে কোনো পার্থক্য না হয় তাহলে সেইসব ছবি কাঙ্খিত দর্শক পাবে না। এই ধারণা শীঘ্রই ভুল প্রমাণিত হয়, কিন্তু তারপরও বলিউড নির্মাতারা একের পর এক বড় বাজেটের অ্যাকশন এবং থ্রিলার ছবি তৈরিতে মনোযোগ দেন। এর ফলে তারা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ধারাকে উপেক্ষা করেন সেটি হলো রোম্যান্স।
সম্প্রতি মুক্তিপ্রাপ্ত ‘সাইয়ারা’র ব্লকবাস্টার সাফল্য প্রমাণ করেছে ভালোবাসার গল্পের জন্য বিশাল দর্শকশ্রেণী বিদ্যমান। প্রকৃতপক্ষে এর বিশাল বক্স অফিস কালেকশন দুটি আসন্ন রোম্যান্টিক সাগা এক বিশাল সুবিধা দিতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে, কার্তিক আরিয়ান-শ্রীলীলার এখনো নাম ঠিক না হওয়া অনুরাগ বসু পরিচালিত ছবি এবং মিলাপ জাভেরি পরিচালিত হর্ষবর্ধন রানে ও সোনম বাজওয়া অভিনীত ‘এক দিওয়ানে কি দিওয়ানিয়াত’।
ট্রেড বিশেষজ্ঞ তারান আদর্শ বলেন- ‘কার্তিক এবং অনুরাগ বসুর ছবিটি সুবিধা পাবে। আমি নিশ্চিত এর প্রযোজক ভ‚ষণ কুমার এই ছবির গানের ব্যাপক প্রচার করবেন। বিশেষ করে যখন একটি ছবি এমন গর্জনশীল সাফল্য পায় তখন তা আপনার প্রতিটি কোষকে উজ্জীবিত করে তোলে। একই কথা হর্ষবর্ধন রানের ছবির ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য’।
তিনি আরও যোগ করেন- ‘ভালোবাসার গল্প কখনই ভুল হতে পারে না। আমরা সবাই আবেগপ্রবণ মানুষ এবং আমাদের আবেগ কারো না কারো সাথে সংযুক্ত। তাই যখন আমরা সিনেমায় এই ধরনের ছবি দেখি তখন আমরা প্রভাবিত হই। আমাদের মুখে হাসি আসে এবং চোখে পানিও আসে। ফলস্বরূপ আমি কার্তিকের পরের ছবি, হর্ষবর্ধনের পরের ছবি এবং ভবিষ্যতে আসতে থাকা অন্যান্য সব প্রেমের গল্পের উপর বাজি ধরব’।
ট্রেড অ্যানালিস্ট অতুল মোহন মন্তব্য করেন- ‘এমনকি যে ছবিগুলো বারবার প্রদর্শিত হয়েও সফল হয়েছিল যেমন ‘লায়লা মজনু’, ‘সনম তেরি কসম’, ‘ইয়ে জওয়ানি হ্যায় দিওয়ানি’ ইত্যাদি সেগুলো সবই ছিল মিউজিক্যাল লাভ স্টোরি। এদিকে ইন্ডাস্ট্রি অনেক বেশি অ্যাকশন ছবি এবং থ্রিলার সরবরাহ করেছে। এই পুনরায় মুক্তিপ্রাপ্ত ছবিগুলোর এবং ‘সাইয়ারা’র সাফল্য প্রমাণ করে যে দর্শকরা বড় পর্দায় রোম্যান্টিক ছবি দেখতে চায়’।
পূর্ণিয়ার রূপবাণী সিনেমার মালিক বিশেখ চৌহান বলেন- কার্তিক আরিয়ানের পরবর্তী ছবিটি তার নিজস্ব যোগ্যতায় সফল হবে। এর পেছনে যারা আছেন তারা খুবই ভালো। সঙ্গীতে ভালোভাবে কাজ করা উচিত, যেহেতু তারা ‘আশিকি’ ট্র্যাকটি পুনরায় তেরি করেছেন। ছবির পরিবেশ সতেজ। কার্তিকের লুকও দারুণ।
মন্তব্য করুন