
		আজ ববিতার জন্মদিন। বাংলা চলচ্চিত্রের ইতিহাস লিখলে তাঁর নাম স্বর্নাক্ষরে লেখা থাকবে। বাংলা ছবির স্বর্নযুগে,যখন রেডিও টেলিভশন ছিল এক মাত্র প্রচার মাধ্যম, তখন তার নাম বলা হতো এভাবে-‘বঙ্গ বিজয়ী তারকা-ববিতা’!
বাংলা ছবির বাঁক বদলের সময়ে ববিতার উজ্জ্বল উপস্থিতি ছিল। সত্যজিৎ রায়ের ‘অশনি সংকেত’ কিংবা আমজাদ হোসেনের ‘গোলাপী এখন টেনে’ ছবিতে অভিনয় করে তিনি আন্তর্জাতিক খ্যাতি পেয়েছিলেন। ‘আবার তোরা মানুষ হ’ ছবির ‘এক নদী রক্ত পেরিয়ে বাংলার আকাশে রক্তিম সূর্য আনলে যারা’ মঞ্চে গেয়ে ওঠেন যে ববিতা, কিংবা আলোর মিছিল ছবির যে ববিতা গান-‘এই পৃথিবীর পরে,কত ফুল ফোটে আর ঝরে’ সেই ববিতা ক্রমশ মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছেন দারুন অভিনয় গুনে। হোক সে প্রচলিত ঘরানার বাংলা ছবি ‘প্রতিজ্ঞা’, ‘মিন্টু আমার নাম’ কিংবা ‘দহন’ ও ‘বসুন্ধরা’এর মতো দারুন আলোচিত ছবি। ‘নয়ন মনি’র মতো মিষ্টি প্রেমের ছবি কিংবা মারপিট অ্যাকশান ধারার ছবিতেও তিনি মানানসই ছিলেন।
‘সুন্দরী’ ছবির ববিতা কিংবা ‘পোকামাকড়ের ঘরবসতি’ ছবির ববিতাও দারুন ব্যতিক্রমী। ধর্ষিতার চরিত্রে কিংবা ‘ওরা ১১ জন’ এ খানসেনাদের মুখোমুখি যে ববিতা, সেই ববিতাই ‘লাঠিয়াল’ কিংবা ‘সুন্দরী অথবা ‘এখনই সময়’ এর মতো ছবিতে মনে রাখার মতো অভিনয় করতে পারেন। ‘প্রেমের দরোজা খোলো না কাল কী হবে জানি না’,‘একটা দোলনা যদি আজ পেতাম,মনের মতো করে সাজাতাম’ অথবা ‘কেউ কোনোদিন আমারে তো কথা দিলো না’-এমন অনেক কালজয়ী গানের ছবিতে ববিতার উপস্থিতি কখনো ভোলা সম্ভব না।
ববিতা প্রথম অভিনয় করেছিলেন জহির রায়হানের ‘সংসার’ ছবিতে। রাজ্জাক সুচন্দার মেয়ে হয়েছিলেন এই ছবিতে। নায়িকা হিসেবে তার প্রথম ছবি ‘শেষ পর্যন্ত’। এই ছবির পরিচালকও জহির রায়হান, মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬৯ এ। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও আজীবন সম্মাননা সহ আরো অনেক পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
প্রিয় অভিনেত্রীর জন্মদিনে শুভেচ্ছা...
মন্তব্য করুন