
		বিখ্যাত পরিচালক বাজ লুরম্যান যিনি সম্প্রতি ‘এলভিস’ ছবিটি নির্মাণ করেছেন এবার নিয়ে এসেছেন কিংবদন্তি রক অ্যান্ড রোল তারকা এলভিস প্রিসলির ওপর একটি নতুন তথ্যচিত্র, যার নাম ‘এপিক: এলভিস প্রিসলি ইন কনসার্ট’। এই ছবিটি যেন এক নতুন আবিষ্কার, কারণ এতে এমন কিছু ফুটেজ ব্যবহার করা হয়েছে যা এর আগে আর কখনো দেখা যায়নি।
অনেকেই মনে করেন ১৯৬৯ সালের পর এলভিস প্রিসলির যে লাস ভেগাস পর্ব শুরু হয়েছিল তা ছিল কিছুটা সস্তা ধরনের। তাঁর ঝকমকে পোশাক, ভারী গয়না এবং মঞ্চে করা মার্শাল আর্ট-এর মতো অঙ্গভঙ্গি দেখে অনেকেই ভাবতেন তিনি তাঁর আসল জৌলুস হারিয়েছেন। কিন্তু এই তথ্যচিত্রটি সেই ধারণা ভেঙে দেয়। লুরম্যান দেখিয়েছেন এলভিসের ভেগাস পারফরম্যান্সগুলো আসলে কতটা শক্তিশালী ছিল এবং সময়ের তুলনায় তা কতটা এগিয়ে ছিল।
লুরম্যান যখন ‘এলভিস’ ছবিটি বানাচ্ছিলেন তখন ওয়ার্নার ব্রাদার্সের আর্কাইভ থেকে তিনি ৬৮টি বাক্সে ৩৫ মিমি ও ৮ মিমি ফরম্যাটের অসংখ্য অদেখা ফুটেজ খুঁজে পান। এর মধ্যে ছিল ‘এলভিস: দ্যাটস দ্য ওয়ে ইট ইজ’ (১৯৭০) এবং ‘এলভিস অন ট্যুর’ (১৯৭২) ছবি দুটির আউটটেক এবং বিভিন্ন সাক্ষাৎকারের অডিও রেকর্ডিং। এই অডিও এবং ভিডিও ফুটেজগুলোকে সিঙ্ক করতে প্রায় দুই বছর সময় লেগেছে।
তথ্যচিত্রে এলভিসকে শুধু মঞ্চের তারকা হিসেবে নয় একজন পারফেকশনিস্ট হিসেবেও দেখা গেছে। রিহার্সালের ফুটেজে তিনি বিটলসের ‘ইয়েস্টারডে’ এবং ‘সামথিং’ এর মতো গানগুলো পরিবেশন করেছেন। এতে তাঁর কণ্ঠের গভীরতা এবং বৈচিত্র স্পষ্ট হয়ে ওঠে। ছবিতে দেখা যায় তিনি কীভাবে তাঁর বিখ্যাত টিসিবি ব্যান্ডের সঙ্গে গান গাইতেন, যা তাঁর গানকে এক নতুন গতি দিত।
১৯৬৮ সালের টিভি কামব্যাক স্পেশালের পর তিনি একজন বিদ্রোহী রকস্টার থেকে একজন পরিপক্ব পপ ও রক সংগীতশিল্পী হিসেবে নতুনভাবে আত্মপ্রকাশ করেন। ‘এপিক’ তথ্যচিত্রে এই পর্যায়টি দারুণভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। ছবিটি শেষ হয়েছে তাঁর বিখ্যাত গান ‘সাসপেসিয়াস মাইন্ডস’ এর অসাধারণ পারফরম্যান্স দিয়ে। লুরম্যানের এই ছবিটি এলভিসের প্রতি তাঁর গভীর শ্রদ্ধার প্রতিফলন। এটি দর্শকদের এলভিসকে নতুন করে চিনতে সাহায্য করবে।
মন্তব্য করুন