মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

অ্যানিমেশন জগতে এআই, অ্যানিমেটরদের কপালে চিন্তার ভাঁজ !

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:১১ পিএম
অ্যানিমেশন মুভির দৃশ্য
অ্যানিমেশন মুভির দৃশ্য

বিনোদন জগতে জেনারেটিভ এআই বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সৃজনশীল প্রযুক্তির ব্যবহার ক্রমশ বাড়ছে। তবে এর ফলে অ্যানিমেশন শিল্পে এক নতুন বিভাজন তৈরি হয়েছে। একটি সাম্প্রতিক গবেষণা প্রতিবেদনে উঠে এসেছে অ্যানিমেশন স্টুডিওগুলো এবং স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলো এই প্রযুক্তিকে উৎপাদন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করার ব্যাপারে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে।

এন্টারটেইনমেন্ট ডেটা সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান লুমিনেট এর ‘অ্যানিমেশন অ্যান্ড এআই’ শীর্ষক নতুন প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে অ্যানিমেশন এবং এনিমেটেড কনটেন্ট স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য দর্শক আকর্ষণ ও ধরে রাখার একটি শক্তিশালী মাধ্যম। এর প্রমাণ হিসেবে নেটফ্লিক্সের ‘কেপপ ডেমন হান্টারস’ ছবিটি সম্প্রতি প্ল্যাটফর্মটির ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি স্ট্রিম হওয়া মৌলিক চলচ্চিত্র হিসেবে রেকর্ড গড়েছে।

লুমিনেট এর মার্কিন এন্টারটেইনমেন্ট ৩৬৫ সমীক্ষা অনুযায়ী এনিমে ছবির ভক্তরা সবচেয়ে বেশি প্রেক্ষাগৃহে সিনেমা দেখতে যান। সমীক্ষায় দেখা গেছে গত তিন মাসে ২৯% দর্শক তিনটি বা তার বেশি এনিমে ছবি হলে দেখেছেন। অন্য সব ঘরানার ছবির তুলনায় এনিমে এই দিক থেকে শীর্ষে রয়েছে।

এছাড়াও অ্যানিমেশন ঘরানার ভক্তরা স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী। যেমন নেটফ্লিক্সের ৭৬% ব্যবহারকারী অ্যানিমেটেড কনটেন্ট দেখতে এই প্ল্যাটফর্মটি ব্যবহার করেন। লুমিনেট এর তথ্য অনুসারে হুলু এবং ডিজনি প্লাস এর জন্যও অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ও টিভি সিরিজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

যদিও অ্যানিমেশন স্টুডিও ও স্ট্রিমিং প্ল্যাটফর্মগুলোর আগ্রহের কেন্দ্রে আছে, জেনারেটিভ এআই এর ব্যবহার নিয়ে শিল্পে বিভাজন থেকেই যাচ্ছে। লুমিনেটের মতে এর কারণ হলো প্রযুক্তির প্রভাব সম্পর্কে ভিন্ন ভিন্ন দৃষ্টিভঙ্গি।জেনারেটিভ এআই এর সমর্থকরা একে একটি বিপ্লবী প্রযুক্তি হিসেবে দেখছেন যা অ্যানিমেশনের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে দ্রুত করবে এবং খরচ কমাবে। অন্যদিকে, সমালোচকরা এর সম্ভাব্য নেতিবাচক দিকগুলো নিয়ে উদ্বিগ্ন।

তবে দীর্ঘদিন ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করা শিল্পীরা জেনারেটিভ এআই-কে ‘নোংরা’ প্রযুক্তি হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। তারা এর আইনি, সৃজনশীল ও নৈতিক প্রভাব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। ডেটা স্ক্র্যাপিং, মেধা সম্পত্তির অধিকার, সৃজনশীল নিয়ন্ত্রণ হারানো, নৈতিক সীমাবদ্ধতা এবং কর্মসংস্থানে প্রভাবের মতো বিষয়গুলো এই বিভাজনের কারণ।

লুমিনেট এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে আগামী দুই বছরে কনসেপ্ট ও স্টোরিবোর্ড আর্টিস্ট, ভিএফএক্স আর্টিস্ট এবং গেম ডেভেলপারদের মতো ভূমিকাগুলো সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

জেনারেটিভ এআই কি শেষ পর্যন্ত অ্যানিমেশন শিল্পের জন্য একটি আশীর্বাদ হয়ে উঠবে নাকি অভিশাপ তা সময়ই বলে দেবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
বিএনপির দুঃসময়ের সাথী, স্বৈরাচারের জম রুমিন ফারহানা আপা: হিরো আলম
বিএনপির দুঃসময়ের সাথী, স্বৈরাচারের জম রুমিন ফারহানা আপা: হিরো আলম
যে ধরণের পুরুষ পছন্দ মালাইকার
যে ধরণের পুরুষ পছন্দ মালাইকার
পদাতিক নাট্য সংসদ এর নতুন নাটক আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর
পদাতিক নাট্য সংসদ এর নতুন নাটক আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর
বিস্ফোরক যে মন্তব্য করে আলোচনায় পরেশ রাওয়াল
বিস্ফোরক যে মন্তব্য করে আলোচনায় পরেশ রাওয়াল