
		অসংখ্য জনপ্রিয় সিনেমায় অভিনয় করেছেন তিনি। নায়ক হিসেবেও পেয়েছিলেন অসম্ভব জনপ্রিয়তা। তবে জনপ্রিয়তা থাকাকালীনই তিনি অনেকটা অভিমান নিয়ে অন্তরালে চলে যান। বাংলা সিনেমার দর্শক হারায় এক সুদর্শন নায়ককে। তিনি নায়ক ইমরান। সিনেমায় অভিনেতা হিসেবে অসম্ভব রকম সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন এই সুদর্শন নায়ক। তবে অসময়ে অন্তরালে চলে যাওয়ায় তার আর খবর পাওয়া যায়নি।
নায়ক ইমারানের আসল নাম ইমরান রতন। তার বাবার নাম ইউছুব আলী।তিনি বগুড়া জেলায় জন্ম গ্রহন করেন। বগুড়া জেলার কৃতি সন্তান ইমরান। কথিত আছে এক সময় ফিল্ম পলেটিক্সের শিকার হয়ে বাংলাদেশ ছেড়ে সুইডেনে চলে যান তিনি। বর্তমানে সেখানেই বসবাস করছেন ইমরান।
জানা যায় তিনি এফডিসিতে স্যুটিং দেখতে গিয়ে পরিচালক দিলীপ বিশ্বাসের নজরে পড়েন। এরপর দিলীপ বিশ্বাস তাকে ‘অস্বীকার' সিনেমায় নায়ক হিসেবে অভিনয়ে সুযোগ দেন। সিনেমায় তার বিপরীতে নায়িকা ছিলেন পাপড়ী। এই সিনেমায় আরো অভিনয় করেন শাবানা-আলমগীর।
সিনেমাটি ১৯৮৫ সালে মুক্তির পর সুপার ডুপার হিট হয় এরপর আর তাকে পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এরপর একে একে ৪৭টি সিনেমায় অভিনয় করেন নায়ক ইমরান। যার বেশিরভাগই জনপ্রিয় হয়। নায়ক হিসেবে তুমুল জনপ্রিয় হোন ইমরান।
ইমরান অভিনীত সিনেমাগুলোর মধ্যে ‘অস্বীকার' (১৯৮৫) ‘ঈমানদার’( ১৯৮৭) ‘অবিশ্বাস’, ‘ভরসা’, ‘ সেতু বন্ধন’, ‘অপেক্ষা’, ‘আগমন’ (১৯৮৮), ‘নাম বদনাম’, (১৯৮৯ ) ‘সোনার নাও পবনের বৈঠা’, ‘সিদ্ধান্ত’, ‘অ্যাক্সিডেন্ট’, ‘অসতী ’ (১৯৯০) ‘অমর সঙ্গী’, ‘মায়ের দোয়া’, ‘বিশ্বাস অবিশ্বাস’, ‘অকৃতজ্ঞ (১৯৯১), ‘পিতা-মাতা সন্তান’, ‘বিষদাঁত (১৯৯১), ‘বিশাল’, ‘সোনার পালকি’, ‘নিনজা’, ‘স্বপ্ন’, ‘সুখের মিলন’, ‘প্রেমের মরা জলে ডোবে না (১৯৯২), ‘সুখের আগুন’,‘মোহন মালা’, ‘সম্পর্ক’, ‘বেনাম বাদশা’, ‘অন্ধ প্রেম (১৯৯৩), ‘প্রেম সোহাগী’, ‘নিষ্পাপ আসামি’, ‘দাগি সন্তান’, ‘ননদ ভাবি’, ‘মিন্টু সম্রাট’, ‘ক্যারাটি মাস্টার’, ‘ট্রাক ড্রাইভার’, ‘প্রেম পাগল’, ‘দেমাগ’, ‘অজান্তে’,‘গোলা বারুদ’, ‘বদ সুরত’, ‘মৌমাছি’, ‘কাল নাগিনীর প্রেম’, ‘দোলনচাঁপা’, ‘হাঙ্গর নদী গ্রেনেড’, ‘বিশ্ব হারামী’, ‘প্রেমিক ডাকাত’ প্রভৃতি। জানা যায় ‘দেমাগ’ সিনেমাটি প্রযোজনা করেন ইমরান।
মন্তব্য করুন