
		দেশের বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক এবং বীর মুক্তিযোদ্ধা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু চোখের সমস্যা নিয়ে রাজধানীর একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তার চোখের সফল অস্ত্রোপচার সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার (২২ সেপ্টেম্বর) সকালে দেলোয়ার জাহান ঝন্টু গণমাধ্যমকে বলেন, ইসলামিয়া চক্ষু হাসপাতালে আমার চোখের ছানি অপারেশন হয়েছে। আমি এখন মোটামুটি ভালো আছি, আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।
এদিকে নির্মাতা প্রযোজক এম এন ইস্পাহানি সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুকে নির্মাতা ঝন্টুর শারীরিক অবস্থা তুলে ধরেছেন। রবিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টা ৪৪ মিনিটে ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘দেলোয়ার জাহান ঝন্টু একজন পরিপূর্ণ সাদা মনের মানুষ। আল্লাহর রহমতে সাকসেসফুলি চোখের অপারেশন সম্পন্ন হয়েছে। দোয়া করবেন। এ নির্মাতা তার পোস্টে হাসপাতালের বিছানায় শয্যাশায়ী ঝন্টুর কয়েকটি ছবিও পোস্ট করেছেন। সেই পোস্টটি নজর কেড়েছে সিনমোপ্রেমী ও নেটিজেনদের। তারা নির্মাতার সুস্থতা কামনা করেছেন।
নির্মাতা দেলোয়ার জাহান ঝন্টু এ পর্যন্ত ৮৮টি চলচ্চিত্র পরিচালনা করেছেন, যা বাংলাদেশি চলচ্চিত্রে কোনো একক পরিচালকের পরিচালিত সর্বাধিক চলচ্চিত্র। এছাড়া তিনি সাড়ে তিন শতাধিক চলচ্চিত্রের কাহিনি, চিত্রনাট্য ও সংলাপ রচনা করেছেন।
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি যিনি টাইটেলে সবচেয়ে বেশি পরিচিতি ব্যবহার করেছেন-কাহিনিকার, চিত্রনাট্যকার, সংলাপ রচয়িতা, পরিচালক, গীতিকার, সুরকার, প্রযোজক, চিত্রগ্রাহক, চলচ্চিত্র সম্পাদক, সংগীত পরিচালকসহ আরও অনেক শাখায় তার অবদান রয়েছে। দীর্ঘ চার দশকের বেশি সময়ে শতাধিক চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন তিনি। ‘লিডার’ চলচ্চিত্র নির্মাণের মাধ্যমে পরিচালনায় আত্মপ্রকাশ করেন। তার পরিচালিত মুক্তিপ্রাপ্ত প্রথম চলচ্চিত্র ‘বন্দুক’।
ঝন্টু পরিচালিত উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে, ‘শিমুল পারুল’, ‘প্রেমগীত’, ‘হারানো প্রেম’, ‘ঝিনুকমালার প্রেম’, ‘বউমা’, ‘সকাল-সন্ধ্যা’, ‘পালকি’, ‘জজ ব্যারিস্টার’, ‘মুজাহিদ’, ‘হাতি আমার সাথী’।
বর্তমানে তিনি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘অপারেশন জ্যাকপট’ নির্মাণে যুক্ত রয়েছেন। ছবিটি পরিচালনা করছেন তিনি নিজেই। তার সঙ্গে রয়েছেন কলকাতার নির্মাতা রাজীব বিশ্বাস।
মন্তব্য করুন