
		র্যাম্বো চরিত্রটির কথা উঠলেই সিনেমাপ্রেমীদের চোখে ভেসে ওঠে হলিউড কিংবদন্তি সিলভেস্টার স্ট্যালনের ছবি। এখন পর্যন্ত মোট পাঁচবার র্যাম্বো চরিত্রে পর্দায় হাজির হয়েছেন এই অভিনেতা। অসাধারণ অভিনয় দিয়ে চরিত্রটিকে করেছেন আইকনিক। কিন্তু এই চরিত্রে নতুন করে পর্দায় আর দেখা যাবে না তাকে।
১৯৮২ সালে এই ফ্র্যাঞ্চাইজির প্রথম ছবি ‘ফার্স্ট ব্লাড’ দিয়ে যাত্রা শুরু করেন ৭৯ বছর বয়সী এ অভিনেতা। এই চরিত্রটিই মূলত খ্যাতি এনে দেয় স্ট্যালোনকে। এরপরও আরও চারবার র্যাম্বো হয়েছিলেন স্ট্যালোন। ১৯৮২ সালে ‘ফার্স্ট ব্লাড’; ১৯৮৫ তে মুক্তি পায় ‘র্যাম্বো: ফার্স্ট ব্লাড পার্ট টু’; ১৯৮৮ সালে ‘র্যাম্বো থ্রি’ এবং ২০০৮ সালে আসে ‘র্যাম্বো’, সবগুলোতেই অভিনয় করেন স্ট্যালোন। এরপর ২০১৯ সালে ‘র্যাম্বো: লাস্ট ব্লাড’ দিয়ে শেষ হয় এ চরিত্রের সঙ্গে সিলভেস্টার স্ট্যালোনের যাত্রা।
এবার প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ফার্স্ট ব্লাড ছবির আগের র্যাম্বো, অর্থাৎ এ চরিত্রের কিশোর বয়সের গল্প নিয়ে প্রিক্যুয়াল তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। চরিত্রটির জন্য নতুন মুখ খুঁজছেন নির্মাতারা।
জনপ্রিয় চরিত্র ‘র্যাম্বো’ হয়ে ফের সিনেমার পর্দায় আসতে চেয়েছিলের এই চরিত্রে রূপদানকারী অভিনেতা সিলভেস্টার স্ট্যালোন। কিন্তু বাধ সেধেছে তার বয়স। এমনকি হালের ‘মুশকিল আসান’ প্রযুক্তি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাও কোনো কাজে আসেনি। তাই হতাশ হয়েছেন স্ট্যালোন।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে স্ট্যালোন জানান, নির্মাতাদের তিনি প্রস্তাব দিয়েছিলেন এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে পর্দায় তাকে কিশোর র্যাম্বো করা যায় কি না সেটা ভেবে দেখার। অভিনেতা বলেন, ‘এআই এখন অনেক উন্নত। এটি ব্যবহার করে ১৮ বছর বয়সী হিসেবে আমাকে দেখানো সম্ভব। এটা খুব জটিল কোনো বিষয় নয়। এ প্রস্তাব দেওয়ার পর সবাই ভেবেছে, আমি বোধহয় পাগল হয়ে গেছি!’
আপাতত জানা গেছে, র্যাম্বোর প্রিক্যুয়ালে এ চরিত্রে নোয়াহ সেন্টিনিও অভিনয় করবেন বলে। তবে র্যাম্বো যেহেতু তার আইকনিক চরিত্র, তাই এতে অভিনয় করা অতটা সহজ হবে না বলে মত সিলভেস্টার স্ট্যালোনের। এ বিষয়ে তিনি নির্মাতাদের সতর্কও করে দিয়েছেন।
মন্তব্য করুন