
		প্রেম, কল্পনা ও মৃত্যুর রহস্যময় আবহে তৈরি বহুল প্রতীক্ষিত মিউজিক্যাল সিনেমা ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান’ অবশেষে মুক্তি পেয়েছে বিশ্বব্যাপী। দীর্ঘ বিরতির পর এই সিনেমার মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় নায়িকা রূপে প্রত্যাবর্তন করেছেন মার্কিন পপ তারকা ও অভিনেত্রী জেনিফার লোপেজ।
                                    
জেনিফার লোপেজ সেই বিরল শিল্পীদের একজন, যিনি তিন দশকের বেশি সময় ধরে গান, অভিনয় ও নাচ। এই তিন ক্ষেত্রেই সমান দাপটের সঙ্গে নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। নব্বইয়ের দশকে দর্শকের কাছে লোপেজ প্রথম নায়িকা হিসেবে পরিচিতি পান ‘অ্যানাকোন্ডা’ সিনেমা দিয়ে। এরপর কাছাকাছি কয়েক বছরে তাঁর ‘সেলেনা’, ‘আউট অব সাইট’ সিনেমাগুলোও বিপুল জনপ্রিয়তা পায়; যা তাকে হলিউডের সর্বোচ্চ পারিশ্রমিক পাওয়া লাতিন অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। পরবর্তী সময়ে ‘মেড ইন ম্যানহাটান’, ‘শ্যাল উই ড্যান্স’, ‘মনস্টার-ইন-ল’-এর মতো রোমান্টিক কমেডি সিনেমাগুলোতে তার অভিনয় দর্শকদের মন জয় করে। একই সঙ্গে সমান্তরালে চলে তার গানের ক্যারিয়ার।
সিনেমায় দেখা যায়, অন্ধকার সেই ছোট্ট ঘরটিতে বন্দী দুটি প্রাণ। একজন ভ্যালেন্টিন, অন্যজন মোলিনা। বাইরের পৃথিবী থেকে সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন এই দুজন। যারা ধীরে ধীরে জড়িয়ে পড়েন গভীর আত্মিক বন্ধনে। ঠিক এমনই এক রহস্যময় গা-ছমছমে আবহ নিয়ে শুরু হয় ‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান’ সিনেমাটি।
সিনেমার একেকটা দৃশ্য যেন একেকটা স্বপ্ন, যেখানে বাস্তবের করুণ নিঃসঙ্গতা মুছে যায় রঙিন আলোর সমারোহে। নির্মাতা বিল কনডন এ সিনেমায় গ্ল্যামার আর কারাগারের কর্কশ বাস্তবতাকে বুনেছেন আবেগ আর মায়াজালের ছোঁয়ায়।
‘কিস অব দ্য স্পাইডার ওম্যান’ সিনেমাটি গানের সুরে বুনেছে মানুষের অন্তর্দ্বন্দ্ব, সংগ্রাম ও স্বপ্নের গভীর এক গল্প।
অ্যাডভেঞ্চারে ভরপুর গত ১০ অক্টোবর মুক্তি পাওয়া সিনেমাটি প্রেমের ইশারা আর কল্পনার ঢেউয়ে ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সিনেপ্রেমীদের, এমনটাই প্রত্যাশা নির্মাতার।
মন্তব্য করুন