
		নিরাপদ অভিবাসন নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে বাংলাদেশে ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী শুরু করেছে আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থা (আইওএম)। দেশের বিভিন্ন জেলায় ‘সিনেমা আঙিনা’ নামের এ প্রদর্শনী দেখানো হবে, যা বাংলাদেশের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো এশিয়ায় পদার্পণ করেছে।
সোমবার (১৩ অক্টোবর) আইওএমের ঢাকা অফিসে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে। আইওএম জানিয়েছে, এই ভ্রাম্যমাণ প্রদর্শনীর মূল লক্ষ্য তরুণ প্রজন্ম ও স্থানীয় জনগণকে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি সম্পর্কে সচেতন করা। পাশাপাশি দক্ষতা উন্নয়ন, উদ্যোক্তা সৃষ্টি ও নিরাপদ অভিবাসনের সুযোগে উৎসাহিত করা।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, নিরাপদ অভিবাসন বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং গঠনমূলক আলোচনা উৎসাহিত করতে ২০১৮ সাল থেকে আফ্রিকার বিভিন্ন দেশে তিন দফায় এ অংশগ্রহণমূলক গণযোগাযোগ প্রচারণা কার্যক্রম সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
ইতালির পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতা মন্ত্রণালয়ের সহায়তায় আইওএম ১৩ অক্টোবর থেকে ১৭ নভেম্বর ২০২৫ পর্যন্ত বাংলাদেশে এ ভ্রাম্যমাণ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী করবে।
মাদারীপুর, ফরিদপুর ও শরীয়তপুর জেলার ১৩টি পৌরসভা ও প্রায় ৪৮০টি গ্রামে এ চলচ্চিত্র প্রদর্শনী হবে। এতে নাটক, সংগীতানুষ্ঠান, কর্মশালা ও সম্প্রদায়ভিত্তিক আলোচনা অনুষ্ঠিত হবে। স্থানীয় টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার (টিটিসি), জেলা কর্মসংস্থান ও জনশক্তি অফিস এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করবে।
আইওএম বাংলাদেশের মিশনপ্রধান ল্যান্স বোনো বলেন, যখন অভিবাসন নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণভাবে হয়, তখন তা উন্নয়নের একটি শক্তিশালী চালিকা শক্তি হয়ে ওঠে। ‘সিনেমা আঙিনা’ এমন একটি সৃজনশীল প্ল্যাটফর্ম, যা সরাসরি জনগণের কাছে গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছে দেয় এবং মানুষকে সচেতন সিদ্ধান্ত নিতে সহায়তা করে।
আইওএমের ভূমধ্যসাগরীয় সমন্বয় অফিসের পরিচালক সালভাতোরে সর্তিনো বলেন, ‘সিনেমা আঙিনা’ বাংলাদেশে এক নতুন অভিজ্ঞতা। আফ্রিকার তুলনায় এখানে প্রেক্ষাপট ভিন্ন, তবে সম্ভাবনা অনেক। এই উদ্যোগ ইতিবাচক বার্তা প্রচার ও অভিবাসন বিষয়ে পারস্পরিক শেখার সুযোগ তৈরি করবে।
২০০২ সালে ইতালির সহযোগিতা ও উদ্যোগে শুরু হয় ‘সিনেমা আঙিনা’। শুরুতে এটি সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিষয়ক সচেতনতা প্রচারণা হিসেবে কাজ করলেও ২০১৮ সাল থেকে আইওএমের অংশীদারত্বে অনিরাপদ অভিবাসনের ঝুঁকি ও সচেতন সিদ্ধান্ত গ্রহণে উৎসাহিত করার আন্তর্জাতিক প্রচারে রূপ নেয়। আফ্রিকার ছয়টি দেশে ৬৭০টির বেশি প্রদর্শনীর মাধ্যমে প্রায় ২ লাখ ৪৩ হাজার মানুষের কাছে পৌঁছেছে এই উদ্যোগ।
মন্তব্য করুন