
		রেস্তোরাঁর প্রবেশমুখে রয়েছে রাজপ্রাসাদের মতো বিশাল দরজা। যাতে স্বর্ণালি অক্ষরে বড় বড় করে লেখা ‘তরী’। নিচু সিলিং, মাটি থেকে ছাদ পর্যন্ত জানালা, দেয়ালে ঝোলানো চিত্রকর্ম থেকে শুরু করে ডেকোরেশন—রেস্তোরাঁর প্রতিটি কোনায় রয়েছে আভিজাত্যের ছাপ। বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ ‘তরী’ (Torii) গৌরী খানের স্বপ্নের প্রজেক্ট। কিন্তু বরাবরই অন্যসব ছেড়ে খাবারের দাম নিয়ে আলোচনায় আসে এর নাম।
                                    
মুম্বাইয়ের অভিজাত এলাকায় নিজের প্রথম রেস্তোরাঁ দিলেও শাহরুখ খানের স্ত্রী একজন প্রযোজক ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার হিসেবে খ্যাতি অর্জন করে এসেছেন। বহু বলিউড তারকার বাড়ি তিনি নিজ হাতে সাজিয়েছেন। নিজের স্বপ্নের রেস্তোরাও সাজিয়েছেন তিনি মনের মতো করে, সামাজিক মাধ্যমে যার ছবি ও ভিডিও এখন ভাইরাল। জাপানিজ থেকে শুরু করে থাই, স্প্যানিশ, মেক্সিকান, ভেজ, নন ভেজ সবধরনের খাবারই পাওয়া যায় এখানে। কিন্তু সম্প্রতি প্রকাশ্যে আসা এই রেস্তোরাঁর খাদ্য ও মূল্যতালিকা নিয়ে বেশ আলোচনা চলছে নেটিজেনদের মাঝে।
সেই মেনু থেকে জানা যায়, ‘তরী’-তে রয়েছে নানা আন্তর্জাতিক মানের খাবার। ডাম্পলিং, স্যালাড থেকে শুরু করে সামুদ্রিক খাবার পর্যন্ত। সেখানে ‘তরী ভেজ গিয়োজা’ নামে এক প্লেট ডাম্পলিংয়ের দাম প্রায় ১,৫০০ রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ২,২০০ টাকা)।
এছাড়াও ‘সামার ভেজিটেবল সুই’ ও ‘ট্রাফল এডামামে’-এর দাম ৯৫০ রুপি করে। স্যালাডের দাম ৫০০ থেকে ১,১০০ রুপির মধ্যে। এর মধ্যে ‘সাশিমি স্যালাড’ বিশেষভাবে জনপ্রিয় স্যামন ও টুনা মাছ দিয়ে তৈরি এই জাপানি খাবারের দাম প্রায় ১,১০০ রুপি।
রেস্তোরাঁটিতে জাপানি কিছু পদও পাওয়া যায়। যেমন ‘এনোকি মাশরুম টেমপুরা’ ৬০০ রুপি, পদ্মফুলের গোড়া দিয়ে তৈরি একটি খাবারের দাম ৭৫০ রুপি, আর ‘চিকেন ইয়াকিতোরি’ পাওয়া যায় ৮০০ রুপিতে। মেনুর সবচেয়ে দামি খাবার দুটি ভেড়ার মাংসের পদ।
একটির দাম ৩,৮০০ রুপি এবং অন্যটির ৪,৭০০ রুপি। এছাড়া নরওয়ের পদ্ধতিতে রান্না করা স্যামন মাছ বিক্রি হয় ১,৯০০ রুপিতে এবং চিংড়ির একটি পদ পাওয়া যায় ৬৫০ রুপিতে।
                    
মন্তব্য করুন