
		আন্তর্জাতিক ডেস্ক : গাজায় নিরবচ্ছিন্ন মানবিক সহায়তা পুনরায় শুরু করার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব অর্থনীতির সাতটি বড় দেশের জোট, গ্রুপ অব সেভেন বা জি-৭। শুক্রবার (১৪ মার্চ) কানাডার কুইবেক প্রদেশের লা মালবে শহরে জি-৭ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদেও বৈঠকে গাজায় মানবিক সহায়তা পুনরায় চালু এবং একটি স্থায়ী যুদ্ধবিরতির পক্ষে সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করা হয়।
এর আগে, ট্রাম্পের দূত উইটকফ বুধবার (১২ মার্চ) কাতারে একটি ‘সেতুবন্ধন’ প্রস্তাব উত্থাপন করেন, পরে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফ এবং দেশটির জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের দপ্তর থেকে এক যৌথ বিবৃতিতে প্রকাশ করা হয়। এতে বলা হয়, হামাস জীবিত বন্দিদের মুক্তি দিলে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপটি মধ্য এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হবে। এর বিনিময়ে ফিলিস্তিনি বন্দিরা মুক্তি পাবেন। আর হামাসকে স্পষ্টভাবে জানানো হয়েছে, এই ‘সেতুবন্ধন’ শিগগির কার্যকর হতে হবে এবং দ্বৈত মার্কিন-ইসরাইলি নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে অবিলম্বে মুক্তি দিতে হবে।
তবে তারা এও জানিয়েছে, গাজা যুদ্ধবিরতি আলোচনার নামে হামাস ‘সম্পূর্ণ অবাস্তব’ দাবি তুলেছে। তারা মনে করছে সময় এখন তাদের পক্ষে রয়েছে। কিন্তু এটি সঠিক নয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, হামাস যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর বিনিময়ে দ্বৈত মার্কিন-ইসরাইলি নাগরিক এডান আলেকজান্ডারকে মুক্তির বিষয়ে চুক্তি বিলম্বিত করছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন যে, হামাস যদি বন্দিদের মুক্তি না দেয় তাহলে তাদের ‘ভয়ানক মূল্য’ দিতে হবে। তবে হামাস সময়সীমার ব্যাপারে সম্পূর্ণ সচেতন এবং তাদের জানা উচিত যে যদি তারা সময়সীমা অতিক্রম করে, তাহলে আমরা যথাযথভাবে তার প্রতিক্রিয়া জানাবো।
মন্তব্য করুন