
		অনলাইন ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মধ্য বহুল আলোচিত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। ব্যাংককে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ভারতে অবস্থানরত শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ, তিস্তা চুক্তি, সীমান্ত হত্যা বন্ধ ও পারস্পরিক স্বার্থ নিয়ে আলোচনা হয়েছে দুই সরকার প্রধানের মধ্যে। এর আগে বিমসটেক সম্মেলনের মূল পর্বে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা। এসময় সদস্য দেশগুলোকে পারস্পরিক স্বার্থ ও সবার কল্যাণে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। ডক্টর ইউনূস রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বিমসটেকের জোরালো ভূমিকা কামনা করেন।
ব্যাংককে চলছে বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন। এতে যোগ দিয়েছে সদস্য দেশগুলোর সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানরা। শুক্রবার প্রাতঃরাশের মধ্যদিয়ে শুরু হয় প্রধান উপদেষ্টার দিনের কর্মসূচি। বিশিষ্টজনদের নিয়ে তিনি প্রাতঃরাশে অংশ নেন।
তবে সবচেয়ে বেশি আগ্রহের বিষয় ছিলো ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সাথে বৈঠক। সেই বৈঠকটিও অনুষ্ঠিত হয় দুপুরে। অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সাথে বৈঠক করেন ডক্টর ইউনূস। বিমসটেক সম্মেলনে ফাঁকে এই দ্বিপাক্ষিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় দুদেশের পারস্পরিক স্বার্থ সংশি¬ষ্ট বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে বলে জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব। এর আগে, বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে বক্তব্য দেন প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মুহাম্মদ ইউনূস। এসময় তিনি বলেন, রোহিঙ্গা সংকট অমীমাংসিত থাকলে সমগ্র অঞ্চলে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। রোহিঙ্গা প্রত্যাবসনে জোরালো ভূমিকা নিতে পারে বিমসটেক। সরকার প্রধান বলেন, বিমসটেক অঞ্চলে বিশ্ব জনসংখ্যার এ-পঞ্চমাংশের আবাস। এই চ্যালেঞ্জগুলোকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করা গেলে সকলের জন্য সুযোগ সৃষ্টি হতে পারে। বাণিজ্য ও বিনিয়োগ প্রসারে তরুণ প্রজন্মের মধ্যে আন্তঃসীমান্ত যাতায়াত সহজ করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন নোবেল জয়ী এই অর্থনীতিবিদ। এদিকে, থাইল্যান্ডের সাথে দুর্নীতি প্রতিরোধে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে দুই দেশ।
মন্তব্য করুন