
		প্রতিবছর প্রায় ৭ লাখ পাকিস্তানি তীর্থযাত্রী ইরাকে যান। বিশেষ করে কারবালার যুদ্ধের ৪০তম দিন অর্থাৎ ‘আরবাইন’-এ হজরত ইমাম হুসাইন (রা.)-এর শাহাদতের স্মরণে তীর্থযাত্রীরা ইরাকে যান। তবে এবার পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি ঘোষণা করেছেন, চলতি বছরে আরবাইন উপলক্ষে পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীদের সড়কপথে ইরান বা ইরাক ভ্রমণের অনুমতি দেওয়া হবে না। নিরাপত্তাজনিত উদ্বেগ থেকেই এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি। রোববার তিনি এ ঘোষণা দেন। ২৭ জুলাই রোববার এক প্রতিবেদনে এ খবর দিয়েছে জিও নিউজ।
এক্স-এ (সাবেক টুইটার) দেওয়া পোস্টে নকভি বলেন, ‘জননিরাপত্তা ও জাতীয় নিরাপত্তার স্বার্থে এই কঠিন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বেলুচিস্তান সরকার ও নিরাপত্তা সংস্থাগুলোর সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনার পরই সিদ্ধান্তটি চূড়ান্ত করা হয়েছে। তবে তীর্থযাত্রীদের জন্য আকাশপথে ভ্রমণ চালু থাকবে বলে নিশ্চিত করেছেন তিনি। একইসঙ্গে তিনি জানান, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ কর্তৃপক্ষকে অতিরিক্ত ফ্লাইট ব্যবস্থার নির্দেশ দিয়েছেন, যাতে তীর্থযাত্রীরা সহজে ভ্রমণ করতে পারেন।
এই সিদ্ধান্ত আসে এমন এক সময়ে, যখন রোববারই প্রধানমন্ত্রী শাহবাজের সঙ্গে বৈঠক করেন মহসিন নকভি। বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী স্পেশাল ফ্লাইট চালুর জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃ পক্ষকে নির্দেশ দেন।
এর আগে চলতি বছরের মে মাসেই পাকিস্তান ও ইরান সম্মত হয়েছিল যে, মুহাররম ও সফর মাসজুড়ে বিশেষত আরবাইন উপলক্ষে তাদের সীমান্ত ২৪ ঘণ্টা খোলা থাকবে। উভয় দেশ তীর্থযাত্রীদের সুবিধার্থে ফ্লাইট সংখ্যা বৃদ্ধির পাশাপাশি সমুদ্রপথে ভ্রমণের সম্ভাবনাও বিবেচনা করে।
ইরানের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, তীর্থযাত্রার ব্যস্ত মৌসুমে মাশহাদ শহরে ৫ হাজার পাকিস্তানি তীর্থযাত্রীর জন্য আবাসন ও খাবারের ব্যবস্থা করা হবে।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালের পর থেকে পাকিস্তানে বিশেষ করে খাইবার পাখতুনখোয়া ও বেলুচিস্তান সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে জঙ্গি হামলার ঘটনা ব্যাপকভাবে বেড়েছে। এ প্রেক্ষিতেই আরবাইন উপলক্ষে এই সড়কযাত্রা নিষিদ্ধের সিদ্ধান্ত এলো।
মন্তব্য করুন