মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

সুদানের বিমান ধ্বংসের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে ইউএই

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ০৮ আগস্ট ২০২৫, ০৭:১৩ পিএম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

সুদানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তারা দারফুর অঞ্চলের নিয়ালা বিমানবন্দরে একটি সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) ভাড়া করা কলম্বিয়ান সেনাদের নিয়ে আসা বিমান ধ্বংস করেছে। এতে ৪০ জন কলম্বিয়ান নিহত হয়েছে। তবে বৃহস্পতিবার ইউএই এই অভিযোগকে “ভিত্তিহীন” বলে প্রত্যাখ্যান করেছে। সূত্র: এএফপি।

সুদানে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে সেনাবাহিনী ও আধাসামরিক বাহিনী র‍্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সের (আরএসএফ) মধ্যে যুদ্ধে চলছে। এই সংঘাতে অনেক মানুষ মারা গেছে এবং অনেকেই দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। সুদানের সেনাবাহিনী ইউএইকে আরএসএফ-কে সাহায্য করার অভিযোগ করেছে, কিন্তু ইউএই এসব অস্বীকার করে আসছে।

সুদানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন বলেছে, ওই বিমান উপসাগরীয় অঞ্চলের এক ঘাঁটি থেকে উড়েছিল, যাতে ছিল বিদেশি সৈন্য এবং যুদ্ধের সরঞ্জাম, যেগুলো আরএসএফ-এর জন্য পাঠানো হচ্ছিল। নিয়ালা বিমানবন্দর সাম্প্রতি অনেকবার বিমান হামলার শিকার হয়েছে।

কলম্বিয়ার প্রেসিডেন্ট গুস্তাভো পেত্রো বলেছেন, তার সরকার নিহতদের সঠিক সংখ্যা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছে এবং মরদেহ ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করবে।

জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা আগেই জানিয়েছিলেন, দারফুরে কলম্বিয়ান ভাড়াটে সৈন্য রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়েও দারফুরে আরএসএফ-এর সঙ্গে লড়াইয়ে প্রায় ৮০ জন কলম্বিয়ান সৈন্যের কথা জানা গেছে।

সেনাবাহিনী প্রকাশ করা ভিডিওতে দেখা গেছে, বিদেশি সৈন্যরা এক জায়গায় অবস্থান করছে, যা স্থানীয়ভাবে জামজাম শিবিরের কাছে বলে জানা গেছে। ওই এলাকার মানুষ বলছে, ভাড়াটে সৈন্যরা তাদের জিনিসপত্র ও গাড়ি লুট করছে। তবে ওই ভিডিও স্বাধীনভাবে যাচাই করা যায়নি।

মে মাসে সুদানের সেনা-সমর্থিত সরকার ইউএইকে “আক্রমণকারী দেশ” ঘোষণা করে কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে। ইউএই বলেছে, বর্তমান সুদানি সরকার তাদের কাছে বৈধ নয়।

সুদানের অভিযোগ, ইউএই তাদের বিমানের অবতরণ নিষিদ্ধ করেছে এবং এক সুদানি বিমানকে আবু ধাবি থেকে উড়তে দেয়নি। তবে ইউএই এখনো এ বিষয়ে কিছু বলেনি।

যুক্তরাষ্ট্রের শান্তি প্রচেষ্টা মিসর ও ইউএইয়ের মতপার্থক্যের কারণে ব্যর্থ হয়েছে। নতুন প্রধানমন্ত্রী কামিল ইদ্রিস কায়রো সফরে মিসরের নেতাদের সঙ্গে সুদানের একতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার ব্যাপারে একমত প্রকাশ করেছেন।

এখন সুদান দুই ভাগে বিভক্ত—উত্তর, পূর্ব ও কেন্দ্রীয় অঞ্চল সেনাবাহিনীর নিয়ন্ত্রণে, আর দারফুর ও দক্ষিণের কিছু অংশ আরএসএফ-এর দখলে। দুই পক্ষের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ রয়েছে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
যে কারণে প্রশংসায় ভাসছেন কেবিন ক্রু
যে কারণে প্রশংসায় ভাসছেন কেবিন ক্রু
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই
নেপালে তুষারঝড়-ধসে ৯ পর্বতারোহী নিহত
নেপালে তুষারঝড়-ধসে ৯ পর্বতারোহী নিহত
যে অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী
যে অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী