
		গাজার অসহায় বাসিন্দাদের নামে মসজিদ থেকে তহবিল সংগ্রহ করে সেই টাকা নিজে খরচ করার অভিযোগে ভারতে সিরিয়ার এক বাসিন্দাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এছাড়া তার তিন স্বদেশী এখনও পলাতক রয়েছে বলে শনিবার (২৩ আগস্ট) জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।
এনডিটিভি জানিয়েছে, অভিযুক্ত এবং তার সহযোগীরা গাজার ক্ষতিগ্রস্তদের নামে সংগৃহীত অর্থ নিজেদের বিলাসবহুল জীবনযাত্রার জন্য ব্যবহার করছিলেন বলে ধারণা করা হচ্ছে এবং সন্দেহ আছে যে, তারা ‘কোনো উদ্দেশে রেকি পরিচালনা করার জন্য’ শহরে (গুজরাট) ছিলেন।
ক্রাইম ব্রাঞ্চের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শরদ সিংহল জানিয়েছেন, আলী মেঘাট আল-আজহার (২৩) নামের ওই ব্যক্তিকে এলিস ব্রিজ এলাকার একটি হোটেল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
জানা যায়, একই হোটেলে অবস্থানরত অন্য তিন সন্দেহভাজন সিরিয়ানের নাম- জাকারিয়া হাইথাম আলজার, আহমেদ আলহাবাশ এবং ইউসুফ আল-জাহার।
যুগ্ম পুলিশ কমিশনার শরদ বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে, আমরা দামেস্কের বাসিন্দা আল-আজহারকে গ্রেফতার করি। তার কাছ থেকে আমরা ৩,৬০০ মার্কিন ডলার এবং নগদ ২৫ হাজার রুপি উদ্ধার করি। গ্রেফতারের পর বাকি তিনজন আত্মগোপনে চলে যায়।’
পুলিশ জানিয়েছে, পলাতকদের বিরুদ্ধে ‘লুক-আউট নোটিশ’ জারি করা হয়েছে, যাতে তারা ভারত ছাড়তে না পারে। শরদ সিংহল জানিয়েছেন, সিরিয়ার চার নাগরিক পর্যটন ভিসায় ভারতে এসেছিলেন এবং গত ২২ জুলাই কলকাতায় অবতরণ করেন। তারা ২ আগস্ট আহমেদাবাদে পৌঁছান।
পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, তারা স্থানীয় মসজিদগুলোতে গিয়ে অনুদান চাইতেন, গাজার অনাহারী মানুষের ভিডিও দেখিয়ে সহানুভূতি অর্জন করতেন। তারা দাবি করতেন যে তারা গাজার অভাবী মানুষদের খাবার সরবরাহের জন্য তহবিল সংগ্রহ করছে। কিন্তু আমরা এমন কোনো প্রমাণ পাইনি যে তারা গাজায় তহবিল পাঠাচ্ছে।
পুলিশ আরও বলছে, ‘ওই সিরীয়রা প্রথমে কলকাতায় কেন গিয়েছিল, তারপর এখানে কেন আসে এবং তারা সত্যিই তহবিল সংগ্রহ করছে কি না বা অন্য কোনো উদ্দেশে কোনো রেকি করছে কি না, তা তদন্তের বিষয়। মার্কিন ডলার উদ্ধার এবং কিছু ডিজিটাল লেনদেনও সন্দেহ জাগায়। আমরা এখন তাদের গতিবিধি এবং যোগসূত্র সম্পর্কে আরও জানতে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ স্ক্যান করছি।’
মন্তব্য করুন