
		প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কির নেতৃত্বাধীন নেপালে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তিন নবনিযুক্ত মন্ত্রী শপথ নিয়েছেন। আজ ১৫ সেপ্টেম্বর সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবন শীতলনিবাসে শপথ গ্রহণ করেন তারা। রাষ্ট্রপতি রামচন্দ্র পাউডেল তাদেরকে শপথবাক্য পাঠ করান। শপথ অনুষ্ঠান শীতলনিবাসের ধ্বংসস্তূপের সামনে একটি আনুষ্ঠানিক ছাউনি বসিয়ে সম্পন্ন হয়। নেপালের সংবাদমাধ্যম দ্য কাঠমাণ্ডু পোস্ট ও হিমালয়ান টাইমস এ খবর জানিয়েছে।
গণমাধ্যম জানায় সাবেক অর্থসচিব রামেশ্বর খনাল অর্থমন্ত্রী, নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের সাবেক নির্বাহী পরিচালক কুলমান ঘিসিং জ্বালানি, পানি সম্পদ ও সেচমন্ত্রী এবং খ্যাতিমান আইনজীবী ওম প্রকাশ আর্যাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ঘিসিং একইসঙ্গে ভৌত অবকাঠামো ও পরিবহণ মন্ত্রণালয় এবং নগর উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্ব দেবেন। আর্যালকে আইন, বিচার ও সংসদীয় বিষয়ক দফতরের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি নিজের দায়িত্বে শিল্প, বাণিজ্য ও সরবরাহসহ পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, পর্যটন ও তথ্যপ্রযুক্তিসহ একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয় রেখেছেন।তিন মন্ত্রীর শপথ গ্রহণের মধ্য দিয়ে সুশীলা কার্কি নেতৃত্বাধীন মন্ত্রিসভা আনুষ্ঠানিকভাবে সম্প্রসারিত হলো।
এই সম্প্রসারণের ফলে সংসদীয় নির্বাচন ছয় মাসের মধ্যে আয়োজনের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রিসভায় এখন চারজন সদস্য রয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী কার্কি বাকি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিজেই পালন করছেন।
পূর্বতন অর্থসচিব খনাল এর আগে উচ্চ পর্যায়ের অর্থনৈতিক সংস্কার সুপারিশ কমিশনের নেতৃত্ব দেন এবং কেপি শর্মা ওলি সরকারের কাছে ৪৪৭ পৃষ্ঠার সংস্কার প্রতিবেদন জমা দেন।
ঘিসিং নেপাল বিদ্যুৎ কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক থাকাকালীন দীর্ঘস্থায়ী লোডশেডিং বা বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমাপ্ত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন। দীর্ঘদিনের বিরোধের পর ওলি প্রশাসন গত মার্চ মাসে তাকে পদ থেকে অপসারণ করে।
আলোচিত আইনজীবী আর্যাল সাম্প্রতিক জেন জেড আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। শুরুতে মন্ত্রিসভায় বাইরে থাকতে চেয়েছিলেন বলে জানা যায়। কিন্তু পরে যোগ দিতে সম্মত হন। তিনি রাষ্ট্রপতি পাউডেল, প্রধানমন্ত্রী কার্কি, জেন জেড প্রতিনিধিদের পাশাপাশি দলীয় নেতাদের সঙ্গে গত সপ্তাহের রক্তক্ষয়ী বিক্ষোভের পর সক্রিয়ভাবে আলোচনায় যুক্ত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী কার্কি রবিবার দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন।
তিনি বলেছেন, এই অন্তর্বর্তী সময়ে তিনি মন্ত্রিসভাকে সর্বোচ্চ ১৫ জন সদস্যের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখবেন। ধাপে ধাপে আরও নিয়োগ হবে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন উপ-রাষ্ট্রপতি রামসহায় প্রসাদ যাদব, প্রধান বিচারপতি প্রকাশমান সিং রাউত, জাতীয় পরিষদ চেয়ারম্যান নারায়ণ প্রসাদ দাহাল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বাবুরাম ভট্টারাই এবং অন্যান্য জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা ।
প্রসঙ্গত, জেন জেড আন্দোলনের সময় অগ্নিসংযোগে শীতলনিবাস ব্যাপক ক্ষতির শিকার হয়। এর ফলে গত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী কার্কির শপথ অনুষ্ঠান রাষ্ট্রপতির আবাসনের ভেতরে অনুষ্ঠিত হয়।
মন্তব্য করুন