মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫

হামাসকে যে হুশিয়ারী দিলেন ট্রাম্প, গাজা নিয়ে ২০ দফা ‘অস্পষ্ট’

বৈশাখী ডেস্ক
প্রকাশ : ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৯:৪৩ পিএম

হামাসের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার প্রস্তাবিত ২০ দফা গাজা শান্তি পরিকল্পনার জবাব দেওয়ার জন্য তিন থেকে চার দিনের সময় দেওয়া হয়েছে। এ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করলে হামাসকে ‘গুরুতর পরিণতি’র মুখোমুখি হতে হবে। আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্প বলেন, আমরা তিন থেকে চার দিন সময় দিচ্ছি। তারপর দেখা যাবে কী হয়। তিনি দাবি করেন, সব আরব ও মুসলিম দেশসহ ইসরাইল ইতোমধ্যেই পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে।

ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, এখন শুধু হামাসের অপেক্ষা। হামাস রাজি হবে বা হবে না। আর যদি না হয়, তবে এটি খুবই দুঃখজনক সমাপ্তি হবে। এর একদিন আগে সোমবার হোয়াইট হাউসে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুকে পাশে নিয়ে ট্রাম্প এ পরিকল্পনা ঘোষণা করেন। পরিকল্পনার মূল প্রস্তাবগুলো হলো-সব ইসরাইলি বন্দিকে মুক্তির বিনিময়ে বহু ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তি, হামাসের সম্পূর্ণ নিরস্ত্রীকরণ, ধাপে ধাপে ইসরাইলি সেনাদের গাজা থেকে প্রত্যাহার, একটি কারিগরি ও অরাজনৈতিক ফিলিস্তিনি কমিটি গঠন যারা গাজা পরিচালনা করবে।

জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, অক্টোবর ২০২৩ থেকে ইসরাইলি অভিযানে গাজায় এখন পর্যন্ত ৬৬ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, যাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। টানা হামলায় গাজা কার্যত বসবাসের অযোগ্য হয়ে পড়েছে; দেখা দিয়েছে দুর্ভিক্ষ ও নানা রোগব্যাধি।

এদিকে ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত গাজা পরিকল্পনা কার্যকর মনে হলেও এতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এখনো অস্পষ্ট রয়ে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন দোহা ইনস্টিটিউট ফর গ্র্যাজুয়েট স্টাডিজের সহকারী অধ্যাপক মুহান্নাদ সেলুম। তিনি আল-জাজিরাকে বলেন, হামাস যোদ্ধারা যদি বন্দিদের মুক্তি দিয়ে অন্য কোথাও নির্বাসনে যেতে চান, তবে তাদের প্রক্রিয়াকরণ কীভাবে হবে-তা এখনো পরিষ্কার নয়।

সেলুম আরও প্রশ্ন তোলেন, গাজার বাইরে বাধ্য হয়ে অন্যত্র চলে যাওয়া ফিলিস্তিনিদের অবস্থার কী হবে। তাদের কীভাবে পুনর্বাসন বা প্রক্রিয়াকরণ করা হবে, সেটিও পরিকল্পনায় স্পষ্ট নয়। এছাড়া গাজায় প্রস্তাবিত আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা বাহিনী কারা গঠন করবে, সেটিও অনিশ্চিত বলে জানান তিনি। এটি কি জাতিসংঘ হবে, নাকি যুক্তরাষ্ট্র? আর কোন কোন দেশ সেনা পাঠাতে স্বেচ্ছাসেবী হবে? কারণ এর সঙ্গে রাজনৈতিক ও আর্থিক ব্যয়ের বিষয়ও জড়িত।

প্রসঙ্গত গাজায় যুদ্ধ বন্ধে ২০ দফা শান্তি প্রস্তাবের সিদ্ধান্ত জানানোর জন্য হামাসকে তিন-চারদিন সময় দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, আমরা তিন থেকে চার দিন সময় দিচ্ছি। তারপর দেখা যাবে কী হয়।তিনি দাবি করেন, সব আরব ও মুসলিম দেশসহ ইসরাইল ইতোমধ্যেই পরিকল্পনায় সম্মতি দিয়েছে। ট্রাম্প বলেন, এখন শুধু হামাসের অপেক্ষা। হামাস রাজি হবে বা হবে না। আর যদি না হয়, তবে এটি খুবই দুঃখজনক সমাপ্তি হবে।

মন্তব্য করুন

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়
যে কারণে প্রশংসায় ভাসছেন কেবিন ক্রু
যে কারণে প্রশংসায় ভাসছেন কেবিন ক্রু
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই
সাবেক মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট ডিক চেনি আর নেই
নেপালে তুষারঝড়-ধসে ৯ পর্বতারোহী নিহত
নেপালে তুষারঝড়-ধসে ৯ পর্বতারোহী নিহত
যে অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী
যে অভিযোগে গ্রেপ্তার ইসরাইলি সেনাবাহিনীর শীর্ষ আইনজীবী