
		মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বুধবার ঘোষণা করেছেন, তিনি রাশিয়ার সবচেয়ে বড় দুটি তেল কম্পানি—রসনেফট ও লুকঅয়েলের ওপর ‘ভয়ংকর’ নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন, যার লক্ষ্য মস্কোকে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধের জন্য চাপ দেওয়া। তাতে বিশ্ববাজারে আজ বৃহস্পতিবার (২৩ অক্টোবর) তেলের দাম একলাফে প্রায় ৫% বেড়েছে।
নিষেধাজ্ঞার জেরে সরবরাহ–সংক্রান্ত উদ্বেগ থেকে তেলের দাম বাড়ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। রাশিয়ার আগ্রাসন নিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন কর্তৃক এ পদক্ষেপগুলো প্রথম সরাসরি হস্তক্ষেপ, এবং তাই এটি একটি ভূ-রাজনৈতিকভাবে তাৎপর্যপূর্ণ মুহূর্ত হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
রয়টার্সের প্রতিবেদন অনুসারে, ব্রেন্ট ক্রুডের দাম ২.৯৮ ডলার বা ৪.৮% বেড়ে ব্যারেল প্রতি ৬৫.৫৭ ডলারে দাঁড়িয়েছে। মার্কিন ওয়েস্ট টেক্সাস ইন্টারমিডিয়েটের অপরিশোধিত তেলের দাম ৩.০১ ডলার বা ৫.২% বেড়ে ৬১.৫১ ডলারে দাঁড়িয়েছে।
গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্যও রোসনেফ্ট এবং লুকোয়েলের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
এরই মধ্যে ইইউ দেশগুলো রাশিয়ার বিরুদ্ধে ১৯তম নিষেধাজ্ঞার প্যাকেজ অনুমোদন করেছে। এর মধ্যে রাশিয়ান এলএনজি আমদানির ওপর নিষেধাজ্ঞাও অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
ইউবিএস বিশ্লেষক জিওভান্নি স্টাউনোভো বলেন, তেলের বাজারে নিষেধাজ্ঞার প্রভাব নির্ভর করবে ভারত কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেখায় এবং রাশিয়া বিকল্প ক্রেতা খুঁজে পায় কি না, তার ওপর।
ইউক্রেন যুদ্ধের পর ভারত সমুদ্রপথে রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের সবচেয়ে বড় ক্রেতা হয়ে ওঠে। তবে বৃহস্পতিবার ভারতের শিল্প সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, নতুন নিষেধাজ্ঞার কারণে ভারতীয় পরিশোধকরা রাশিয়ান তেল আমদানি তীব্রভাবে কমিয়ে আনতে পারে।
বিষয়টি সম্পর্কে অবগত দুটি সূত্রের মতে, রাশিয়ান অপরিশোধিত তেলের শীর্ষ ভারতীয় ক্রেতা বেসরকারি মালিকানাধীন রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ এই ধরনের আমদানি সম্পূর্ণরূপে হ্রাস বা বন্ধ করার পরিকল্পনা করছে।
কিন্তু মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ান তেল সরবরাহ ও চাহিদার ক্ষেত্রে মৌলিক পরিবর্তন আসবে কি না, তা নিয়ে বাজারে সংশয় রয়ে গেছে।
মন্তব্য করুন