
		পাকিস্তানে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও নারী সমতা এখনো একসঙ্গে হাঁটতে পারেনি। তবে সম্প্রতি ফেডারেল ওমবাডসপার্সন ফর প্রোটেকশন এগেইনস্ট হ্যারাসমেন্ট অব উইমেন অ্যাট ওয়ার্কপ্লেসের একটি রায় দেশে এক বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।
ডন পত্রিকার সম্পাদকীয়-এর বরাতে জানা যায়, এই রায়ে জয়নাব জাহরা আওয়ান নামের এক নারীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে—তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকাকালে বরখাস্ত হয়েছিলেন। আদালত তার চাকরি পুনর্বহাল ও এক মিলিয়ন রুপি জরিমানার আদেশ দিয়েছেন, যা দেখিয়েছে গর্ভধারণ কোনো অপরাধ নয়, আর মাতৃত্ব চাকরিচ্যুতির অজুহাত হতে পারে না।
রায়ে পাকিস্তানের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৪, ২৫ ও ৩৭ —অর্থাৎ ব্যক্তিসত্তার মর্যাদা, আইনের আগে সমতা, এবং মাতৃত্বের সুরক্ষা—উল্লেখ করে বলা হয়েছে, নারীরা নাগরিক হিসেবে পূর্ণ অধিকার রাখে।
এই রায় আন্তর্জাতিক মানবাধিকার চুক্তিগুলোকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। এতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ‘নিরাপদ মাতৃত্ব কোনো অনুগ্রহ নয়—এটি মৌলিক অধিকার।’
তবে এই রায় যেন কেবল এক দৃষ্টান্ত হয়ে না থাকে, বরং তা বাস্তব প্রয়োগে রূপ নেয়।
বড় কর্পোরেট অফিস থেকে শুরু করে ছোট প্রতিষ্ঠান, আউটসোর্সড কর্মস্থল—সবখানেই যেন মাতৃত্বকালীন অধিকার নিশ্চিত করা হয়। শ্রম বিভাগ ও মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে কঠোরভাবে নজরদারি করতে হবে, যাতে কোনো নারীকে মাতৃত্বের কারণে চাকরি হারাতে না হয়।
মন্তব্য করুন